Connecting You with the Truth

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জামাইর বসদ ঘর ভাঙ্গল শশুর

News 117

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নে পৈশাচিক কায়দা-কৌশলে জামাইয়ের বসৎ ঘর ভেঙ্গে দিল পাষন্ড শশুর। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। ভোক্তভূগী এ ব্যাপারে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ রম্নক্ত রহমানের ছোট মেয়ের সাথে একই ইউনিয়নের ফজলের ছেলে মোঃ ফেরদৌস রহমানের সাথে কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ সমপন্ন হয়। এতে ছেলের পরিবার রাজি না থাকায় শ্বশুর বাড়িতেই থাকতে হয় ফেরদৌসকে। ফেরদৌস মিয়া তার স্ত্রী এবং শ্বশুরের পরামর্শে ৫ শতাংশ জমি লিখে দেওয়ার মৌখিক শর্তসাপেক্ষ শেষ সম্বল ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা শ্বশুরের হাতে তুলে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় দু-চালা টিনের ঘর বেধেঁ বসবাস করতে থাকে নব-দম্পত্তি। কিছুদিন পর মোঃ ফেরদৌস মিয়া শশুরকে জমি লিখে দেওয়ার কথা বললে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে গত শনিবার(২ মে) সন্ধা ৭টায় পাষন্ড শশুর মেয়েকে কৌশলে বুঝিয়ে ৫ শতাংশ জমির উপর বাধা দু-চালা ঘর পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে মহুর্তের মধ্যে ভেঙ্গে তছনছ করে ঘরের সমসত্ম জিনিস লুট করে এমনকি ঘরের ভিটের মাটি অনত্র্য সরিয়ে উক্ত জায়গায় হলুদ রোপন করে। এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানায়, মোঃ ফেরদৌস মিয়া এখানে ধানের ডুলি, ধারি কিংবা দৈনিক মজুরীর কাজ করে থাকেন। এখানে তার কোন বংশ ধরও নেই। কোন ক্রমে খেয়ে-না খেয়ে সমত্মান ও স্ত্রীকে নিয়ে বেচেঁ আছেন তিনি। এলাকার মাতাববর মোঃ শামছুউদ্দিন এবং মোঃ সুলতান উদ্দিন জানান, রাতের অন্ধকারে জামায়ের ঘর ভেঙ্গে ফেলা ও ভিটের মাটি অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ৫ শতাংশ জায়গার উপর ঘরের কোন অস্থিত্ব নেই, আছে হলুদের ক্ষেত।

এব্যাপারে পাশ্ববর্তী বাড়ির বাচ্ছু মিয়া, রেণু মিয়া, মোঃ শরিফ মিয়া, মোঃ উজ্জল মিয়া,মোঃ খাইরম্নল ইসলাম জানান, লম্বা লাটির মাথায় চাকু লাগিয়ে ফেরদৌসকে মারার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে।

এব্যাপারে গোবিন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম রতন দৈনিক নবকল্যানকে জানান, ছেলে ও মেয়ে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেছে। বর্তমানে মেয়েকে ভরপোষন না করায় ঝগড়া-ঝাটি হয়েছে বলে পরস্পর শুনেছি। উভয় পক্ষই কোর্টে আইনের আশ্রয় নিয়েছে। ছেলের অভিযোগকে তিনি অস্বীকার করে বলেন, জায়গা জমি ও টাকার লেনদেন বিষয়টি সত্য নয়। তাছাড়া রম্নক্ত রহমানের পিতা, ফেরদৌসের দাদা শ্বশুর এবং তার স্ত্রী ৫ শতাংশ জমির উপর দু-চালা ঘর ছিল বলে স্বীকার করেন। এ ঘনায় কিশোরগর্ঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উভয় পক্ষ মাললা দায়ের করেছেন।

Comments
Loading...