ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের বরাতে বিবিসি শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইরবিল শহরের কাছে আইএসের হামলার পর কুর্দি বাহিনীর সদস্যরা শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতায় ভুগেছিলেন বলে জার্মানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে তা জানাননি ওই কর্মকর্তারা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের ধারণা আইএস মাস্টার্ড এজেন্ট ব্যবহার করেছে।
এরআগেও আইএসের বিরুদ্ধে কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিবেশী সিরিয়া থেকে আইএস এর কাছে মাস্টার্ড এজেন্ট এসে থাকতে পারে।
সিরীয় সরকার ইতোপূর্বে জানিয়েছিল, এ ধরনের সব রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ধ্বংস করা হয়েছে। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনও কুর্দি ও ইরানের বিরুদ্ধে মাস্টার্ড এজেন্টের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন।
রাসায়নিক অস্ত্র মাস্টার্ড এজেন্ট ব্যবহার করলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের চামরা, চোখ ও শ্বাসনালীতে তীব্র জ্বলুনির সৃষ্টি হয়।
জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হামলার ফলে প্রায় ৬০ জন কুর্দি যোদ্ধা ওই ধরনের সমস্যায় ভুগেছেন।
কুর্দি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরবিলের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মাখমোর শহরের কাছে আইএস এই হামলা চালিয়েছিল।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে স্বায়ত্বশাসিত কুর্দি সরকার জানিয়েছিল, আইএস গাড়িবোমা হামলায় আইএস ক্লোরিন ব্যবহার করেছে- এর প্রমাণ রয়েছে।