কে জানে তার পরিচয়, ভিন্ন ভাষায় কথা কয় !
সেলিম ভান্ডারী: কোথায় বাড়ি কোথায় ঘর, কিবা ঠিকানা তার, সেকি বাংলাদেশী না বিদেশী ২০ দিনেও শনাক্ত করতে পারেনি কেউ। যেখানে উদয় সেখানেই অবস্থান সর্বদায়। কথা বলেন কম, তাও আবার অজানা কোন ভাষায়। কেউ মনে করছেন হিন্দি ভাষা, কেউবা বলেন ফার্সি। আসলে কি ভাষায় কি বলেন জানেনা বাঘাবাসী। আজ পর্যন্ত নাম ঠিকানা কিছুই পাওয়া যায়নি তার। পরিচয়হীন এই ব্যক্তি চলতি মাসের ৬ তারিখে এসে অবস্থান নিয়েছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বানিয়া পাড়া বড় মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি খালে। তবে কখন আসলেন কিংবা কিসে আসলেন টের পাইনি স্থানীয় কোন জনসাধারন। দেখতে মনে হচ্ছে পাগল। কেউ কিছু দিলে খাই, না দিলে না খাই। এভাবেই কেটে যাচ্ছে ২০ দিন। অবস্থানরত খাল থেকে সরেননি এক মুহুর্তের জন্য। যেখানে থাকেন সেখানেই মল মূত্র ত্যাগ করেন। দিন রাত একই ভাবে কাটিয়ে যাচ্ছেন এই পরিচয়হীন লোকটি। তার এই ধরনের থাকা, খাওয়া ও অস্থানের কথা যে শুনছে সেই এক পলক দেখতে আসছেন এই লোকটিকে। নানান লোকের নানান কথা ও বহু রুপী প্রশ্নের উত্তর না দিলেও ক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়নি তাকে। তবে তাকে দেখতে আসা সিংহ ভাগ লোক ধারনা করছেন সে বাংলাদেশী নাগরিক না। আবার অনেকে ধারনা করছেন হতে পারে ভারতের নাগরিক। আসলে সেই জানে সে কি, কিবা তার পরিচয়, আর জানে মহান সৃষ্টিকর্তা।