খালেদার রাজনীতি দখল ও মানুষ পোড়ার রাজনীতি: মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : খালেদার রাজনীতি দখল ও মানুষ পোড়ার রাজনীতি, আর শেখ হাসিনার রাজনীতি সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করার রাজনীতি। রাজনৈতিক দল ও রাজনীতির উদ্দেশ্য হচ্ছে নিম্বস্তরের মানুষদের উপরস্ত স্থানে নিয়ে যাওয়া, জনসেবা করা। বিএনপি’র ক্ষমতা আমলে জাল যার জলা তার নীতিতে বিএনপি নেতা কর্মীরা দেশের খাল, বিল জলাশয় দখল করেছেন, আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আইনের মাধ্যমে জেলেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে মন্তব্য করেন এ মন্ত্রী। (আজ) বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার আমলে বিশ্বের দরবারে মাছ উৎপাদনেবাংলাদেশ ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা মাছ না ধরার আহবান জানিয়ে জেলেদের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেয়ার সরকারি পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।“জাটকা মাছ বাড়তে দিন, ফিরবে মোদের সোনালি দিন” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাকসুদুল হাসান খান এর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, নৌ পুলিশের ডিআইজি মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, রামগতি পৌরসভার মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু প্রমুখ।
পরে রামগতির আলেকজান্ডার আদালত ঘাট থেকে একটি বর্ণাঢ্য নৌ র্যালী শুরু হয়ে মেঘনানদীর ৭ কিলেমিটার ঘুরে স্থানীয় গাবতলী ঘাটে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড ও নৌপুলিশের দুটি জাহাজসহ শতাধিক নৌকা ও স্প্রীডবোর্ডে করে জেলে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণসহ সহ¯্রাধিক লোক অংশ নেয়।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জাটকা সংরক্ষন ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে ১মার্চ থেকে ৩০ এপ্্িরল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। এ একশ’ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে। এসময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষন, আহরন, পরিবহন, বাজারজাত করন ও মজুদকরন নিষিদ্ধ রয়েছে। জেলায় ৩৬ হাজার ৭শত ১২ জন জেলে রয়েছে। তবে বে-সরকারী হিসেবে নদীতে জেলের সংখ্যা দ্বিগুন। এসব জেলে নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। নিষেধাজ্ঞার সময় মার্চ-এপ্্িরল ২মাস ও সামনের মে-জুন দুই মাসসহ ৪ মাস পর্যন্ত প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি হারে খাদ্য সরবরাহ করা হবে। এছাড়া নগদ অর্থ দেয়া হবে তাদের। জেলেদেরকে সচেতন করার জন্য নদী এবং উপক‚লবর্তী এলাকায় মাইকিং ও পোষ্টারিংসহ সকল ধরনের প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ। এছাড়া প্রতিদিন নদীতে মৎস্য বিভাগ,উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।