খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার বিএনপির বিক্ষোভ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় এবং দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা সদরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই কর্মসূচিতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অংশ গ্রহণের জন্য দলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যেভাবে মিথ্যা সাজানো মামলায় বন্দী করে রেখেছেন, তেমনি বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিএনপির বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যাচার করছেন। তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন।
রিজভী বলেন, আপনারা দেখেছেন গত দুদিন আগে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। দুটি নির্বাচনই দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের যে প্রান্তেই নৌকার পক্ষে ভোট চান না কেন তা ঘোষিত তফসিলের মধ্যে পড়ে। এবং সেটা নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন।
রিজভী বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই-আপনি বলেছেন, ভোট চাওয়া আপনার রাজনৈতিক অধিকার তাহলে দলের সভানেত্রী হিসেবে ভোট না চেয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভোট চাচ্ছেন কেন? প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, সরকারি টাকা খরচ করে, সরকারি হেলিকপ্টার নিয়ে সরকারি সার্কিট হাউস ব্যবহার করে এবং গন্তব্যস্থলে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে, সরকারি সব প্রটোকল নিয়ে ভোট চাওয়া কোন ধরণের রাজনৈতিক অধিকার জনগণ তা জানতে চায়।
তিনি বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, কিন্তু ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী আইন ভঙ্গের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন দীর্ঘ নিদ্রায় শায়িত।
রিজভী বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী চাঁদপুরের এক জনসভায় বলেছেন- নুহু নবীর সময় এই নৌকা সবাইকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এটা সবাই জানে-নির্বাচনের সময় আপনি ধার্মিক হয়ে যান। হেফাজতের রক্তাক্ত ঘটনার কথা মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। সরকারি ফরমান জারি করে জুম্মার নামাজে মসজিদে মসজিদে খুৎবা পরিবর্তন করা হয়েছে। দাড়ি-টুপি দেখলেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে মসজিদে মসজিদে ঢুকে নামাজরত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিভাবে মসজিদের ইমাম সাহেবদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আওয়ামী চেতনায় মোনাজাত করতে। আওয়ামী লীগ ছাড়া বিরোধী দলীয় কেউ যদি মারা যায় বা মৃত কারো নামে দোয়া চাওয়া হয়, তাহলে ইমাম সাহেবদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। অথচ সেই প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় কাহিনী বলে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন।