খালেদা নিজেই সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন -ওবায়দুল কাদের
স্টাফ রিপোর্টার:
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “খালেদা নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিলেন। সেই সাথে সমঝোতা আর সংলাপকে অসম্ভব করে ফেললেন।” তিনি বলেন, বোমাবাজির মতো অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মোকাবেলা করতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ সময় খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, অচিরেই তিনি তার কৃত কর্মের সঠিক জবাব পাবেন।
গত কাল দুপুরে সরকারি তিতুমীর কলেজে ছাত্রলীগ আয়োজিত শিশুদের মধ্যে শিক্ষাপোকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “পুত্রশোকে কাতর খালেদাকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে শেখ হাসিনা অবাঞ্ছিত হয়ে ফিরে এসেছেন। এ সময় খালেদা নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দুই দলের মধ্যে সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। তার ওই আচরণের মাধ্যমে সমঝোতা আর সংলাপকে অসম্ভব করে ফেললেন তিনি।” আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি নিজেও ভাবিনি শেখ হাসিনা শোকাহত খালেদার কার্যালয়ে যাবেন। শেখ হাসিনা আবারও প্রমাণ করেছেন, তিনি মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন সত্যিকারের একজন মা। প্রমাণ করেছেন, এদেশের পেট্রল বোমায় দগ্ধদের আহাজারির বিপরীতে শান্তি চান হাসিনা।” তিনি বলেন, “প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে যে হামলা এসেছিল তারপরেও কেন যাবো! তার ছেলে মারা গেছে তাতে আমার কী এরকম অনুভূতির প্রশ্রয় দেননি শেখ হাসিনা।” এ সময় তিনি বলেন, এ ঘটনার মাধ্যমে আকেরটি সুবর্ণ সুযোগ হারালো বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা রাজনীতিকে মোকাবেলা করবো রাজনীতি দিয়ে আর বোমাবাজির মতো অরাজনৈতিক অবস্থার মোকাবেলা করতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অচিরেই তারা এর সঠিক জবাব পেয়ে যাবেন। এর আগে তিনি বলেন, সংলাপ এবং সমঝোতার পথটিও বন্ধ করে দেওয়ায় আবারও স্বস্তির সুবাতাস আতঙ্কে পরিণত হলো। দেশ আবারও উদ্বেগ-আতঙ্কে পরিণত হলো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, শনিবার বিএনপি একটুও ভদ্রতা দেখায়নি। ক্ষমতার সিংহাসনের জন্য খালেদা হাসিনাকে অপমানিত করেছেন। এই অপমানের জবাব দেশের ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে আওয়ামী লীগ দেবে।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিরাজুল ইসলাম ডলারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুণ-উর রশীদ, কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু হায়দার আহমেদ নাসের, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ।