খুলনা কারাগারে জঙ্গি আরিফের ফাঁসি কার্যকর
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) নেতা ও দুই বিচারক হত্যা মামলার সর্বশেষ আসামি আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রবিবার রাত ১০টা ৩১মিনিটে খুলনা কারাগারে এ রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসির পর চিকিৎসকরা আরিফের মরদেহ পরীক্ষা করেন।
আরিফের ফাঁসিকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই কারাগারের আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কারাগারের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কারাগার সূত্র জানায়, বেলা ১২টার দিকে আরিফের স্ত্রী, দুই মেয়েসহ পরিবারের ১২ জন সদস্য আরিফের সঙ্গে জেলখানায় দেখা করে গেছেন।
খুলনা কারাগার সূত্র জানায়, জঙ্গি নেতা আসাদুল ইসলাম আরিফ ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন। ২০০৬ সালের ২৯ মে দুই বিচারক হত্যা মামলার রায়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহম্মেদ জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক ও আসাদুল ইসলাম আরিফের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন।
চলতি বছরের ২৮ আগস্ট রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আরিফের করা আবেদন খারিজ করে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে আরিফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কোনো বাধা থাকে না।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসকে সাহা।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকালে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতে যাওয়ার পথে দুই বিচারককে বহনকারী মাইক্রোবাসে বোমা হামলা করে জ্যেষ্ঠ বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদকে হত্যা করে জঙ্গিরা।
মামলায় যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে তারা হলো, জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমানের ভাই আতাউর রহমান সানি, জামাতা আবদুল আউয়াল, ইফতেখার হোসেন মামুন, খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে ফারুক।
২০০৭ সালের ২৯ মার্চ শীর্ষ এই ছয় জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। অবশিষ্ট দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের মৃত্যুদণ্ড রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কার্যকর করা হলো।বিডিপত্র/আমিরুল