গলাচিপায় স্পিডবোটে যাত্রীদের উপর হামলা; আহত ৬
গলাচিপা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপার দক্ষিন পানপট্টি লঞ্চঘাটে স্পিডবোট চালনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পানপট্টি লঞ্চ ঘাট থেকে স্পিডবোটে যাত্রী নিয়ে কোড়ালিয়া যাবার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিলে স্থানীয় খেয়া ঘাটের মালিক নুর মমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হিরোন মৃধা, ফরিদ হাওলাদার, শফিজউদ্দিন হাওলাদার, মালেক প্যাদা, তুহিন, শৈইয়ুব ও নুরুল আমিনসহ আরও ৮/১০ সন্ত্রাসীরা স্পিডবোটের মালিক ও যাত্রীদের উপর রামদা ও রডদিয়ে অতর্কিত হামলা করে।
এতে ঘটনা স্থালেই গুরুতর আহত হন মোঃ দুলাল সিকদার(৪০), আব্বাছ প্যাদা (৩৫), অলিল গাজী (২৮), মোঃ শাহজালাল খাঁ (৩৫), নুর জামাল (২৫), বাহাদুর প্যাদাসহ আরও ৫/৭ জন আহত হন। আহতদের গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মো. সালাহউদ্দিন তুহিন বলেন, মো. দুলাল সিকদারের আঘাতের চিহ্ন মাথায় অনেক বড় ধরনের জখম এই জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল গলাচিপা পানপট্টি ও কোড়ালিয়া রুটে সমবায় সমিতির নামে স্পিডবোট যাত্র শুরু করে। গলাচিপায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্র পেল স্পিডবোট। এতে রাঙ্গাবালীর প্রায় দুই লক্ষাধিক লোক অতি সহজে জেলা শহরে পৌছতে সক্ষম হবে। বিশেষ করে নারী পুরুষ ও শিশুরা বেশি উপকৃত হবে। এমন কি মাতৃত্বকালীন ঝুকি হ্রাস পাবে। বুধবার সকাল ১০টায় ৯জন যাত্রী নিয়ে আগুন মুখা নদী দিয়ে কোড়ালিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। এ সময় শত শত মানুষ অবলোকন করেন।
জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণে উপকূলীয় এলাকা গলাচিপা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন থেকে ৫টি ইউনিয়ন আলাদা করে রাঙ্গাবালী নামে নতুন একটি উপজেলা গঠন করা হয়। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক বিছিন্ন চরাঞ্চল রয়েছে। গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার লোকজনের পানপট্টি ও কোড়ালিয়া রুটে আগুনমুখা নদীতে যাতায়াত বেড়ে যাবে। যাত্রীদের ভয় অনেক কমে যাবে।
এ নদী দিয়ে দীর্ঘদিন প্রায় অর্ধশতাধিক লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল করত। এ ভয়ঙ্কর নদী পাড়ি দিতে সময় লাগত ঘন্টা খানেক। এতে অসুস্থ নারী ও পুরুষকে নদীর মাঝে জীবন দিতে হয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের নদীর মাঝে প্রসব হয়েছে এমন ঘটনাও শোনা গেছে।