গুজরাট উপকূলে পাকিস্তানি নৌকা বিস্ফোরণ
গুজরাট উপকূলে স্থানীয় কোস্ট গার্ডের প্রতিরোধের মুখে সন্দেহভাজন ‘পাকিস্তানি একটি মাছ ধরা নৌকা বিস্ফোরিত’ হয়েছে বলে দাবি করছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো। নৌকাটিতে চারজন আরোহী ছিল। এখন পর্যন্ত কেউ জীবিত উদ্ধার হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। নতুন বছরের শুরুতেই (১ জানুয়ারি সকালে) সন্দেহভাজন অস্ত্র-বোমা বহনকারী নৌকাটির ভারত অভিমুখে যাত্রা আরেকটি ২৬/১১ (মুম্বাই হামলা) সৃষ্টির অপচেষ্টা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। শুক্রবার (২ জানুয়ারি) ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করে, করাচির অদূরের কেটি বান্ডার থেকে গুজরাটের পোড়বন্দর অভিমুখী নৌকাটি ভূখণ্ডের ৩৬৫ কিলোমিটার দূরে আরব সাগরে ভারতীয় কোস্টগার্ডের প্রতিরোধের মুখে পড়ে বিস্ফোরিত হয় হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নৌকাটিকে সন্দেহভাজন মনে হলে চ্যালেঞ্জ করে কোস্টগার্ড। কিন্তু ওই নৌকাটি পালিয়ে যেতে চাইলে প্রায় এক ঘণ্টা ধাওয়া করে কোস্টগার্ডের স্পিডবোর্ড। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলে নৌকাটির আরোহীরা সেটিকে বিস্ফোরিত করে। এতে ওই চার ব্যক্তিসহ নৌকাটি ঘটনাস্থলেই ডুবে যায়। তবে, ঘটনার পর এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এর আগে, ২০০৯ সালের ২৬ নভেম্বর ঠিক এভাবেই একটি পাকিস্তানি নৌকা মুম্বাই উপকূল দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর ওই নৌকা চড়ে আসা ১০ সন্ত্রাসী পুরো মুম্বাইয়ে তাণ্ডব চালায়। বিশেষত ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও হোটেল তাজসহ ৮টি স্থানে সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৬৬ জন নিহত ও ছয় শতাধিক আহত হয়। পরে নিরাপত্তা বাহিনী হোটেল তাজসহ পুরো মুম্বাইয়ে অভিযান চালিয়ে একজন ছাড়া সব জঙ্গিকে হত্যা করে। জীবিত অবস্থায় আটক আজমল কাসাভ নামে ওই জঙ্গি জেরার মুখে স্বীকার করে, তারা পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য। পরে আজমল কাসাভের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর হয়। এই হামলায় মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টিলিজেন্সকে (আইএসআই) অভিযুক্ত করে ভারত।