গুরুদাসপুরে কচুরীপানায় পরিপূর্ণ নন্দকুজা নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ, এলাকাবাসীর দূর্ভোগ
জালাল উদ্দিন, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর শাখা নন্দকুজা নদীতে প্রায় ১ মাস যাবৎ কচুরীপানায় পরিপূর্ণ থাকায় নৌ চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে উত্তরজনপদের অন্যতম ব্যবসা মোকাম চাঁচকৈড় হাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী আমদানী রপ্তানী ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই বানিজ্যনগরীর নেতৃস্থানীয়রা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নাটোরের নারদ নদ বছরের প্রায় সবসময়ই কচুরীপানায় পরিপূর্ণ থাকায় সেখানে নৌ চলাচল বন্ধ থাকে। কিন্তু বর্ষাকালে যখন নদীতে জোয়ার আসে তখনই নারদ নদের ওই কচুরীপানাগুলো গুরুদাসপুর উপজেলার চন্দ্রপুর হয়ে পদ্মার চারঘাট থেকে বয়ে আসা নন্দকুজা নদীতে অধিকাংশ কচুরীপানা ভেসে আসে। প্রতি বছরের এ সময় চন্দ্রপুর থেকে চাঁচকৈড় ত্রীমোহনী গুমানী নদীর মুখ পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার নৌপথ কচুরীপানায় সয়লাভ হওয়ার ফলে ওই নৌরুটে নৌযান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এবারেও বর্ষার আগমনে নন্দকুজা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপকভাবে কচুরীপানা ভেসে আসায় দীর্ঘ নৌপথে বন্ধ হয়ে গেছে নৌযান চলাচল। এতে করে উত্তরজনপদের অন্যতম বানিজ্যনগরী গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় হাটে নৌযান যোগে কোন প্রকার মালামাল বা পন্য সামগ্রী আনা নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এলাকার কৃষক অপরদিকে চাঁচকৈড় মোকামের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রীর আমদানী কমে যাওয়ায় পন্যমুল্য বৃদ্ধির হিসেব গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অথচ এ ব্যাপারে কারোর নেই কোন মাথা ব্যাথা।
এদিকে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, ওই কচুরীপানায় আক্রান্ত নন্দকুজা নদীর পানি ব্যবহার করে অনেকেই চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অপরদিকে ওই নদী তীরবর্তি চন্দ্রপুর, নাজিরপুর, বাহাদুরপুর, সোনাপুর, কুমারখালী, মামুদপুর, বিয়াঘাট, মোলাবাজার, হামলাইকোল, নারায়নপুর, নাড়িবাড়ি, পারগুরুদাসপুর, খামারনাচকৈড়, চাঁচকৈড়, খলিফাপাড়া সহ প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দা তাদের গোবাদী পশুগুলোকে ওই নদীতে গোসল করাতে না পেরে বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কথা বললে ভুক্তভোগী উপজেলার নাজিরপুর ও বিয়াঘাট ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও মোজাম্মেল হকের সাথে কথা বললে তারা জানান, অবিলম্বে তারা শপথ গ্রহণের পর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব বুঝে পেলেই নন্দকুজা নদীকে কচুরীপানা মুক্ত করা হবে।