Connecting You with the Truth

চট্টগ্রামে পেট্রলবোমায় দু’জনের মৃত্যু, হামলার নির্দেশ এসেছিল কেন্দ্র থেকে

statementচট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে এবং স্থানীয় যুবদল নেতাদের পরিকল্পনায় গত ৪ মার্চ হাটহাজারীর বুড়ির পুকুর পাড় এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সায় পেট্রলবোমা হামলা করা হয়েছিল। ওই বোমা হামলায় দগ্ধ হয়ে দু’জন মারা যান। গত কাল দুপুরে চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম ইশরাত জাহানের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা জানিয়েছে এমরান হোসেন (২৮) নামের এক যুবদল কর্মী।
এর আগে একই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ইকবাল হোসেন (২৮) এবং রবিউল হোসেন কামাল (৩২) নামের আরও দু’জন আদালতে জবানবন্দি দেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এমরান জবানবন্দিতে জানিয়েছে, পেট্রলবোমা হামলার সময় ঘটনাস্থলে তাদের ১৫ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল। এর মধ্যে জামশেদ, জসীমসহ ১২ জনের নাম সে বলেছে। বাকিদের সে দেখলে চিনবে বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, জবানবন্দিতে এমরান বলেছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে এবং হাটহাজারীর যুবদল নেতাদের পরিকল্পনায় তারা কয়েকজন গাড়িতে পেট্রলবোমা মেরে পুড়িয়ে দেয়ার কাজ করেছিল। আমরা নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হন অটোরিকশার যাত্রী রণজিত নাথ (৩০) ও চালক সাবের আহমেদ (২৮)। পরদিন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রণজিত মারা যান। পরে গত ১০ মার্চ মারা গেছেন সাবের। পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় ৫ মার্চ হাটহাজারী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে একটি মামলাটি দায়ের করেন। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক আইন ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় মির্জাপুর ইউনিয়নের সদস্য বিএনপি নেতা মো. ইয়াকুবসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। ওই মামলায় এমরানকে গত মঙ্গলবার রাতে হাটহাজারীর বুড়ির পুকুর পাড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।

Comments
Loading...