Connect with us

রংপুর

বেরোবির জনসংযোগ দপ্তরে হামলা,কর্মকর্তাকে পেটালো চাঁদাবাজরা

Published

on

 

বেরোবি জনসংযোগ
বেরোবি সংবাদদাতা ।। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদা না দেয়ায় তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীকে পিটিয়ে আহত করেছে বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাকে বাঁচাতে এসে লাঞ্চিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (চলতি দায়িত্ব) মোরশেদ উল আলম রনি সহ আরও এক কর্মচারী। রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ দপ্তরে এ হামলা চালানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউল হাসানের নেতৃত্বে শাহিন সর্দার, শাহিন বেগ ও নুরুজ্জামান রুবেল(ভলকা রুবেল) জনসংযোগ দপ্তরে প্রবেশ করে। তারা জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে তাকে বেধরক পেটাতে থাকে এবং অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাথে সাথেই চলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (চলতি দায়িত্ব) মোরশেদ উল আলম রনি। তিনি মোহাম্মদ আলীকে বাঁচাতে চেষ্ঠা করায় তাকেও লাঞ্চিত করে রাফিউল বাহিনী। এ ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষীদের মধ্যে জনসংযোগ বিভাগের কর্মচারী জিয়াউর রহমানকে মাথায় আঘাত করে ভলগা রুবেল।

এদিকে মোহাম্মদ আলীর আঘাত গুরুত্বর হওয়ায় তাকে বিশ্বাবদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎষা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আহত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, শাহিন সর্দার এবং কর্মচারী শাহিন বেগ ও রুবেল আমার রুমে এসে ৫০০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তাদেরকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে গালিগালজ করে। আমি এতেও চাঁদা না দিলে তারা আমাকে মারতে শুরু করে এবং আমার অফিস ভাংচুর করে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় রেজিস্টার মোরশেদ উল আলম রনি ও সহকারী প্রক্টর শাহীনুর রহমান উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতেও তারা আমাকে মারধর করে।

এদিকে অফিসে হামলা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাব গ্রহনে রেজিস্টার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী।

জানতে চাইলে রেজিস্টার মোরশেদ উল আলম রনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সেখানে গিয়ে শুনতে পাই তারা (চাঁদাবাজরা) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর কাছে চাঁদা করছে। তিনি চাঁদা না দেয়ায় তারা তাকে মারধর করে ও অফিস ভাংচুর করে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শাহীনুর রহমান জানান, আমিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীকে মারধর করতে দেখি। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।

এদিকে তিনজনকে আটকের কথা বললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে একজনকে দেখা যায়। আর বাকি দুইজনকে ক্যাম্পাসে বাইকে ঘুড়তে দেখা গেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আটককৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ। তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে পালাবে না। যেকোনো সময় ডাকলে তারা চলে আসবে। তাই তাদের হেফাজতে রাখা হয়নি।বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *