চাষির মুখে সোনালী হাসি লক্ষীপুরে শিম চাষে আয় হবে কোটি টাকা
রুবেল হোসেন, লক্ষীপুর: লক্ষীপুরে শিম চাষে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখান কার চাষিরা দির্ঘদিন দরে শীতকালিন সবজি শিমের চাষ করে আসছেন। প্রতি বছরের মত এবারও কৃষকেরা ফসলের মাঠে অধিকাংশ জমিতে শিমের চাষ করেছেন।
গত তিন-চার বছরের টানা সাফল্যে চলতি মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চাহিদা বেশি থাকায় ও অল্পপুঁজি বেশি ভাল হাওয়া কৃষকরা শিম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এই শিম জেলায় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয় ।
বর্তমানে শিম গাছে ফুল এসেছে । ভাল ফলনের জন্য চলছে ব্যপক পরিচর্যা তবে মাঝে-মাঝে শিম ও দেখা যাচ্ছে।
ল²ীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে গিয়ে দেখা যায় সারা বছর যে সব জমি অনাবাদি পড়ে থাকে এবং ফলনের অনউপযোগী সেই সব জমিতেও শিমের আবাদ করেছেন কৃষকেরা । এছাড়াও যে সব ফসলের জমিতে বর্ষার মৌসমে হাটু পরিমান পানি থাকে এমন জমির পাশ থেকে মাটি তুলে সারিবদ্ধ ভাবে ঢিবি তৈরী করে শিম চাষ করা হয়।
কয়েক জন কৃষকের অভিযোগ করে বলেন জেলা কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে সঠিক সময়ে কোন পরার্মশ দেওয়া হয়না। নিজেদের প্রচেষ্টায় তারা এশিম চাষ করে যাচ্ছেন। যদি আমাদের সঠিক ভাবে পরামর্শ দেওয়া হত তাহলে শিম চাষে ফলন ভাল হত।
লক্ষীপুর সদর জেলার অবিরনগর, ভবানীগঞ্জ, পেয়ারাপুর, লাহারকান্দি, চর রমনীমোহন, কুশাখালী, তেওয়ারীগঞ্জ, মিয়ার বেড়িসজ জেলার রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও চরাঞ্চলে স্থানীয় ও উন্নত জাতের শিমের চাষ হয়েছে। বর্তমানে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত শিম বিক্রি হচ্ছে।
লক্ষীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লক্ষীপুর সদর উপজেলায় ৩শ ৫০ হেক্টর, রায়পুর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, রামগঞ্জ উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, রামগতি উপজেলায় ২৫০ হেক্টর ও কমলনগর উপজেলায় ৮৬ হেক্টর জমিতে শিমের চাষ করা হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট ৭শ ৯৬ হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজির চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩শ হেক্টর বেশি।
লক্ষীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সঠিক পরিচর্যায় শিমের বাম্পার আশা করা যাচ্ছে। উৎপাদিত শিম থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।