জাপানি জিম্মির বিনিময়ে আইএস’র সদস্য সাজিদাকে চাইল আইএস
ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট’র (আইএস) পক্ষ থেকে আসা একটি বার্তা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এই বার্তায় জর্দানের হাতে বন্দি এক আইএস সদস্যকে মুক্তি দেয়ার নতুন সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জর্দানে বন্দি আইএস’র ইরাকি সদস্য সাজিদা আল রিশাবিকে জাপানি জিম্মি কেনজি গোতোর জীবনের বিনিময়ে বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের মধ্যে তুর্কি সীমান্তে ছেড়ে দেয়া না হলে, আইএস এর হাতে জিম্মি জর্দানি পাইলট মোয়াজ আল-কাসাবেহকে “তাৎক্ষণিকভাবে” হত্যা করা হবে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, এই বার্তায় কাসাবেহ’কে মুক্তি দেয়ার কোনো কথা না থাকায় আইএস’র সঙ্গে ঘোষিত বন্দি বিনিময় স্থগিত করেছে জর্দান। অভিজ্ঞ জাপানি যুদ্ধ সাংবাদিক গোতো ও জিম্মি অপর জাপানি হারুনা য়ুকাওয়া’র জীবনের বিনিময়ে গেল সপ্তায় ২০ কোটি ডলার দাবি করেছিলে আইএস। তারপর আইএস’র বেঁধে দেয়া সময় পেরিয়ে গেলে য়ুকাওয়াকে হত্যা করা হয়েছে এবং গোতো জীবিত আছেন বলে দাবি করেছে আইএস। অপরদিকে, আইএস’র বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিমান হামলায় অংশ নিয়ে কাসাবেহ সিরিয়ায় গিয়েছিলেন। তার পরিচালিত জঙ্গি বিমানটি সিরিয়ার বিধ্বস্ত হলে আইএস জঙ্গিদের হাতে বন্দি হন জর্দান বিমান বাহিনীর এই পাইলট। কাসাবেহ জীবিত আছেন বলে দাবি করেছে আইএস। কিন্তু জর্দানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিএএন’কে বলেছেন, কাসাবেহ জীবিত আছেন, আইএস’কে তার প্রমাণ দিতে বলেছিলেন তারা, কিন্তু কোনো উত্তর পাননি। ২০০৫ সালে জর্দানের রাজধানী আম্মানে এক আত্মঘাতী হামলায় ৫৫ জন নিহত হন। এই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আল রিশাবি’র মৃত্যুদণ্ড হয়। বৃহস্পতিবার ইরাকি শহর মসুলের স্থানীয় সময় সূর্যাস্তের মধ্যে (বিকেল সাড়ে ৫টা) রিশাবি’র মুক্তি দাবি করেছে আইএস, নয়তো জিম্মি জর্দানি পাইলটকে মেরে ফেলা হবে।