জিয়ানগরে প্রকাশ্যে ইটের ভাটাগুলোতে কাঠ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট
কেফায়েত উল্লাহ, জিয়ানগর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের জিয়ানগরে প্রকাশ্য ইটের ভাটাগুলোতে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে, ব্যাপক হুমকির মুখে পরছে পরিবেশ। রবিবার সরে জমিনে গেলে দেখা যায় উপজেলার নলবুনিয়া কালিবাড়ী, পাড়েরহাট, বালিপাড়া চর সাঈদখালী চন্ডিপুর এলাকায় (এনবিআই, পিভিআই, এবিআই, এসবিআই ও মুন ব্রিকস) সহ অসংখ্য ইটের ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এব্যাপারে ইট ভাটার মালিকরা জানায়, কয়লা না পাওয়ার কারনে আমাদের বাধ্য হয়ে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে হচ্ছে। কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কারনে আমাদের ভাটার খরচের পরিমান কয়েকগুনে বেশী লাগছে। এ ছাড়া সময় মত কাঠ সংগ্রহ করতে না পাড়ায় আমাদের অনেক সময় কাচা মাটির তৈরী ইটনিয়ে পরতে হচ্ছে বিপাকে। প্রতিটি ইট ভাটাতেই লাখ লাখ কাচা ইট তৈরি করে উৎপাদনে যেতে পারছেন না মালিকরা। যার ফলে কাঁচা তৈরি ইটগুলোও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করে। তবে ইটের ভাটাগুলোতে চুঙ্গা বা প্রয়োজনী স্ট্যাকচার না থাকার কারনে এবং কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর ফলে ব্যপক হুমকির মুখে পরেছে পরিবেশ। উপজেলার কালিবাড়ী এলাকার মুন ব্রিকস এর মালিক মোঃ আয়নাল হোসেন জানায়, আমরা নিজেদের কাজের জন্য উপর মহলের লোকের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছি। নিজেদের কাজ ও এলাকার ইটের চাহিদা মেটাতে আমরা ইট পোড়াচ্ছি। কালিবাড়ী এলাকার কাওছার আহম্মেদ দুলাল ,পাড়েরহাট ইউপি সদস্য আঃ রব জানায়, ইটের ভাটার কারেন পরিবেশ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এলাকার ফসল, ফলকারগাছ, নারিকেল- সুপারী ও কলাবাগানসহ ফলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। স্থানীয়রাআরো জানায়, ইটের ভাটার কারনে এলাকার আবহাওয়া দুষিত হচ্ছে। এলাকার ফলকার গাছসহ ফসলের উৎপাদন কম হচ্ছে। যার ফলে এলাকার লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তারা জানায়, ইতি মধ্যে কয়েকবার ভাটাগুলোতে ম্যাজিষ্ট্রেট পরিদর্শন করে এলাকার ক্ষয় ক্ষতি সম্পর্কে অবহিত হন এবং ভাটার মালিকদের অর্থ জরিমানা করেন। তবে তাতে কোন পরিবর্তন হয় নাই। এ ব্যাপারে ভাটার মালিক বেল্লাল সহ অনেকেই জানায়, কয়লা সমায় মতন না পাওযার কারনে আমরা অনেক সমায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে বাধ্য হই। কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কারনে আমাদের খরচ বেরে যাচ্ছে কয়েকগুন।