Connecting You with the Truth

জীবননগরে অপরাধ প্রতিরোধ পথসভা ২০১৫

জীবননগর প্রতিনিধি:
সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে থানা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের আয়োজনে অপরাধ প্রতিরোধ পথসভা ২০১৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার রশীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় পুলিশের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগর টগর, অতিরিক্ত ডিআইজি দিদার আহম্মেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতান লাকী, চুয়াডাঙ্গা পুলিশের নতুন সার্কেল আবু সুফিয়ান, চুয়াডাঙ্গা বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা র‌্যাব-৬ অধিনায়ক লে. কর্নেল ইনামুল আরিফ সুমন, জীবননগর থানার ওসি হুমায়ন কবির।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি বজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. আ. মালেক মোল্লা, উথুলী আওয়ামী লীগের নেতা সোহরাব হোসেন, যুবলীগ নেতা খাইরুল বাসার, ছাত্রলীগের সভাপতি সোয়েব আহম্মেদ অঞ্জন, সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম রাজা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন বাঙ্গালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। যতই ছারপোকার মত কামড় দেওয়ার চেষ্টা করা হোক না কেন তা চিপে মেরে ফেলা হবে। তার জন্য প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান করা প্রতিটি পাড়ায় কমিউনিটিং সেন্টার গড়ে তোলা। কার সন্তান কোথায় যায়, কে গাড়িতে ইট ছোঁড়ে, কোথায় বোমা তৈরি করে, কারা তাদের মদদ যোগায় তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তি দিন। তিনি আরও বলেন, সহিংসতার শিকার বার্ন ইউনিটে ভর্তি নিরীহ ব্যক্তিরা তো কোন রাজনীতি বোঝে না, তারা তো কোন দল করে না তারা কেন বৃথা শাস্তি ভোগ করবে।
গত কয়েক দিন আগে দুই বছরের যে শিশুটিকে আগুনে দগ্ধ করা হয়েছে, সেতো বাংলাদেশ বোঝে না, পাকিস্তান বোঝে না। যারা তার এ অবস্থা করেছে তারা কি বোঝে না সন্তান হারানোর বেদনা কত ভয়াবহ! কত কষ্টকর! যদি রাজনীতি করতে হয়, তাহলে মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করেন। মানুষ হত্যা কোন রাজনীতি হতে পারে না। আসুন সবাই আমরা নিজ দায়িত্বে নিজেদের দোকানপাট খোলা রাখি, গাড়ির চাকা সচল রাখি। শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শ্রমিক ভাইরা আপনারা নিজ নিজ কাজে নিয়োজিত থাকবেন। এর মধ্য যদি কেউ কোন রকম নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে তাহলে তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিন। তার জন্য কঠিন শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন আব্দুস সালাম ইশা।

Comments
Loading...