জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়েছেন: ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রায় ৭০ বছরের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি লঙ্ঘন করে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতির ঘোষণা বাতিল করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আরব লীগ। অন্যদিকে প্রাচীন এই শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করার মার্কিন সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দিয়েছে জাতিসংঘ। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর থেকে উত্তেজনা বেড়েই চলছে।
ট্রাম্পের যে স্বীকৃতি দিয়েছে তার আসল কারণ বিশ্লেষন করেছেন অনেকে। তাদের মতে ট্রাম্পের আশঙ্কা, তিনি যদি এই স্বীকৃতি না দেন তাহলে মার্কিন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ভোট ব্যাংক হারাবেন তিনি। ট্রাম্পের উপদেষ্টারাও বলেছেন, গত বছরের মার্কিন নির্বাচনে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখতে ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়েছেন।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়, সারা বিশ্বের নেতাদের হুশিয়ারি সত্ত্বেও বুধবার ট্রাম্প এ ব্যাপারে ঘোষণা দেন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের খ্রিস্টানরা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় এবং ‘জেরুজালেম প্রেয়ার’ বলে এক প্রার্থনা কর্মসূচির ডাক দেয়।
এক পরিসংখ্যান মতে, আমেরিকায় বর্তমানে প্রায় ৫ কোটি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর মানুষ রয়েছে। এরা বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীকে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে।
সাম্প্রতিক এক জরিপ মতে, ৮২ ভাগ শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান বিশ্বাস করে যে, ইসরাইলের ব্যাপারে প্রভু ইহুদিদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মাত্র ৪০ ভাগ মার্কিন ইহুদি বাইবেলের এই বাণীকে বিশ্বাস করে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করতে আরব লীগ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব তোলার চেষ্টা করবে বলেও এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। কায়রোতে সংস্থাটির এক জরুরি বৈঠকের পর সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। অন্যদিকে জাতিসংঘও এর বিরোধিতা করছে।
‘হিব্রুতে জেরুশা লাজিম। আরবিতে আল কুদ। ইহুদি ও ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান জেরুজালেম। দুই পৃথক জীবনযাত্রার আকড়বিন্দু এই প্রাচীন শহর। ফলে এর ‘হক’-এর দাবিদার একত্রে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি। ‘এভাবেই মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ।