Connecting You with the Truth

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চমক দেখিয়েছে বিদ্রোহীরা

জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের ফলাফলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা চমক দেখিয়েছে। বুধবার ৩৮ জেলায় চেয়ারম্যান পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে ১৪টি বিদ্রোহীসহ অন্যরা জয়ী হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের মনোনীত ২৪জন জয় পেয়েছেন।

তবে ভোটের আগেই আওয়ামী লীগ মনোনীত ২১ জন চেয়ারম্যান পদে জয় পান। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যানসহ ২১ সদস্যর জেলা পরিষদ গঠিত হতে যাচ্ছে। নির্দলীয় এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনীত করে। নির্বাচনে রাজনৈতিক উত্তাপ না থাকায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মূলত আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এই লড়াইয়ে বিদ্রোহীরা উল্লেখ্যযোগ্য জেলায় দল সমর্থিত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন।

যদিও বিএনপি, জাতীয় পার্টি-জাপা এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। তারপরেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে দু’টি দলের চারজন নির্বাচনে অংশ নেন। গাইবান্ধায় জাতীয় পার্টি-জাপার সাঘাটা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) আতাউর রহমান সরকার আতা জয়লাভ করেন।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলার পর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফল ঘোষণা করেন। ইসির ঘোষিত ৬১ জেলার মধ্যে আজ ৫৯ জেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৩৮টি জেলায় চেয়ারম্যানসহ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোট হয়। বাকী জেলায় সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোট হয়।

আওয়ামী লীগের ১৩ বিদ্রোহী জয়ী
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ১৩জন বিদ্রোহী জয়ী হয়েছেন। তারা হলেন, পঞ্চগড়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আমানুল্লাহ বাচ্চু, নীলফামারীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদনি, রাজশাহীতে মোহাম্মদ আলী সরদার, মেহেরপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল, চুয়াডাংগায় শেখ শামসুল আবেদীন খোকন, নড়াইলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এডভোকেট মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, পিরোজপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ, জামালপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, শেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির রোমান, সুনামগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ শফিকুল আলম, চাঁদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওসমান গণি পাটোয়ারি। চাঁদপুরেএই জেলায় চেয়ারম্যান পদে দলীয় সমর্থন পাওয়া বর্তমান প্রশাসক লে. কর্নেল (অব.) এম আবু ওসমান চৌধুরী সেখানকার ভোটার না হওয়ায় মনোনয়ন জমাই দিতে পারেননি। সেখানে আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী প্রতিদ্বনি্দ্বতায় নামেন। তবে দল থেকে কাউকে সমর্থন দেয়া হয়নি। এছাড়াও গাইবান্ধায় জাতীয় পার্টি-জাপার সাঘাটা উপজেলার সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) আতাউর রহমান সরকার আতা জয় পান।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৪ জয়ী
আওয়ামী লীগের বিজয়ী ২৪ প্রার্থী হলেন, রংপুরে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাফিয়া খানম, লালমনিরহাটে এডভোকেট মতিয়ার রহমান, কুড়িগ্রামে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মইনুদ্দিন মণ্ডল, পাবনায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কনক কান্তি দাস, মাগুরায় পঙ্কজ কুন্ডু, খুলনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, বরগুনায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক এমপি মো. দেলোয়ার হোসেন, পটুয়াখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারফ হোসেন, বরিশালে মইদুল ইসলাম, ময়মনসিংহে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, নরসিংদীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আসাদুজ্জামান, মানিকগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন, রাজবাড়ীতে আব্দুল জব্বার, গোপালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, মাদারীপুরে মো. মিয়াজ উদ্দিন খান, শরীয়তপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা, মৌলভীবাজারে মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান, সিলেটে এডভোকেট লুত্ফুর রহমান, কুমিল্লায় নৌ-বাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অব.) আবু তাহের, নোয়াখালী সাবেক প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, লক্ষীপুরে আলহাজ্ব মো. শামছুল ইসলাম, কক্সবাজারে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।

Comments
Loading...