Connecting You with the Truth

টেকনাফে ৮ মাসে ৩৩ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:
পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সর্বত্র এখন ইয়াবার ছড়াছড়ি। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকা টেকনাফ যেন ইয়াবার কারখানায় পরিণত হয়েছে। পানের দোকান থেকে শুরু করে সবখানেই ইয়াবা পাওয়া যায়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারির পরও কিভাবে পানির স্রোতের মত দেশের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালানগুলো মাদকের গডফাদার নামক দেশদ্রোহীরা, তা ভাবিয়ে তুলেছে দেশের সচেতনমহলকে। একের পর এক মালিকবিহীন ইয়াবা আটক নিয়ে সাধারণদের মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন সীমান্তে বা সড়কে কোথাও না কোথাও ছোট বড় ইয়াবার চালান আইন শৃংখলা বাহিনী আটক করতে সক্ষম হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে মূল পাচারকারী ও রাঘব বোয়াল গড ফাদাররা। গত এক মাসে টেকনাফ বিজিবি ও পুলিশ কয়েক কোটি টাকার ইয়াবার চালান আটক করলেও আটক করতে পারেনি মূল পাচারকারীদের। প্রত্যেক বড় চালানগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর হ্নীলা উত্তর আলী খালী এলাকার নাজির হোছেনের পুত্র কক্সবাজার সিটি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র আবদুর রহমানকে (২০) ৫ হাজার ইয়াবাসহ আটক করে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ। সে বইয়ের ভেতর করে ইয়াবা পাচার করছিল বলে জানায় পুলশি । এছাড়া বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট ৬০ হাজার পিস, ২১ আগস্ট ৪০ হাজার পিস, ১৯ আগস্ট ২০ হাজার পিস, ১৮ আগস্ট ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ টেকনাফে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত ৮ মাসে প্রায় ১১ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে আইন শঙ্খলা বাহিনী। যার আনুমানিক মূল্য ৩৩ কোটি টাকা। জব্দকৃত ইয়াবার সাথে মামলা হয়েছে ১২৮ টি। এসব মামলায় আসামি হয়েছে শতাধিক জন, পলাতক আসামী রয়েছে ৬০ জন। যার মধ্যে মিয়ানমারের নাগরিক রয়েছে ১৭ জন। ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বিজিবির একটি বিশেষ টিম হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা বিওপি সংলগ্ন নাফ নদীর পাড় বেড়িবাঁেধর উপর অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা মূল্যের ৫৮ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

Comments
Loading...