Connecting You with the Truth

ট্র্যাম্পের প্রথম পরিকল্পনা : ২০ লাখ অবৈধ প্রবাসীকে বহিষ্কার

tamp1মার্কিন ইতিহাসে আর কোন প্রেসিডেন্টই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো এত বেশি বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেননি আর অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নেননি। কিন্তু তার ‘আমেরিকাই সবার আগে’ নীতি অনেক আমেরিকানের কাছেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
গেটিসবার্গে দেয়া তার বক্তৃতায় প্রথম ১০০ কাজের উল্লেখ্যযোগ্যগুলো সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া গেছে।ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম একশো দিনের পরিকল্পনা:
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশ লাখের বেশি অপরাধী, অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার
যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার জানাবে, তাদের ভিসা মুক্ত চলাচল বন্ধ করে দেয়া
ওবামা প্রশাসনের নির্বাহী আদেশগুলো পর্যালোচনা করা
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের ‘তদবিরকারী’ হওয়া থেকে বিরত থাকতে বিধিনিষেধ আরোপ করা
কংগ্রেসের সদস্যদের মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেয়া
জাতিসংঘের জলবায়ু তহবিলে অর্থপ্রদান বন্ধ করা। এই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামোর উন্নয়নে বিনিয়োগ
চীনকে মুদ্রা কারসাজির কারিগর হিসাবে চিহ্নিত করা
মেক্সিকো সীমান্তে একটি দেয়াল তোলার ঘোষণাও দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেটি কতদিনের মধ্যে করা হবে, তা পরিষ্কার করেননি। ইরানের সাথে পারমানবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন, তবে সেজন্য কোন সময় জানাননি।
গেটিসবার্গ ঘোষণায় না থাকলেও, কানাডা এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর সঙ্গে যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আছে, সেটি পূর্ণ বিবেচনার পরিকল্পনাও রয়েছে তার প্রধান কাজের তালিকায়।
এসব পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়ন করতে পারবেন মি. ট্রাম্প?
বারাক ওবামার নির্বাহী আদেশগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের ক্ষমতায়ই বাতিল করতে পারবেন। কিন্তু তার অনেক পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করতে হলে প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটের অনুমতি দরকার হবে। প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেটে রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও, সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একক ক্ষমতা নেই। ফলে তার অনেক পরিকল্পনাই সেখানে আটকে যেতে পারে। বিবিসি বাংলা

Leave A Reply

Your email address will not be published.