Connecting You with the Truth

তালতলীতে অনুমোদন ছাড়াই সরকারি খালের মাটি কেটে বিক্রি

তালতলী সংবাদদাতা, বরগুনা:
বরগুনার তালতলীতে খাস জমির মাটি কেটে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যেতে দেখা গেছে। গত শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত ৬টি মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের মাধ্যমে ওই মাটি নিয়ে যেতে দেখা যায়। উপজেলার ৬ নং নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের তাঁতীপাড়া এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাওয়া নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা গেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সরকার থেকে বন্দোবস্ত নেয়া খাস জমির মধ্যে অবস্থিত সরকারি খাল দীর্ঘদিন ধরে না কাটায় খাল তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে সরু হয়ে গেছে। ঠিক এমন সময়ে কিছু লোক মিলে এলাকার মানুষকে খাল কেটে ফসলি জমির উপকারের প্রলোভন দেখিয়ে বোকা বানিয়ে ভূমি অফিসের অগোচরে থেকে বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে জমি ভরাট করতে থাকে।

ম্যাপ অনুযায়ী, খাল খনন না করায় এবং খালের মাটি পারে না ফেলে লুটিয়ে নেয়ায় আগামী দিন গুলোতে কৃষকরা ঝুঁকিতে পড়ার আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে এর গভীরতা বেশি ও চওড়া কম হওয়ার কারণে বর্ষার মৌসুমে সরল জমি (ফসলি) ভেঙ্গে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থের পাশাপাশি খাল পুনঃরায় ভরাট হয়ে যাবে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজনে বলেন, ইউপি সদস্যরা মিলে মাটি কেটে বিক্রি করছে। এতে যদিও ফসলি জমির ক্ষতি হবে তবুও আমরা কিছু বলতে পারি না। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভূমি অফিসের অনুমতি না পেয়েও মাটি কেটে বিক্রি করছে।

অন্য একজন বলেন, নিশ্চিত এখান থেকে আইনের লোকেরাও ফায়দা লুটেছে। নয়তো কয়েকদিন ধরে মাটি কাটছে প্রশাসন নিরব কেনো? এখানে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটছে সাথে সরকারি গাছও কেটে নষ্ট করে দিচ্ছে। দ্রুত গাছপালা নষ্টের হাত থেকে এবং মাটি খেঁকোদের হাত থেকে খালটিকে রক্ষা করার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাকিল জানায়, এ বছর কৃষকের জমির ধান বাড়িতে নিতে পারে নি কেবল মাত্র পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায়। আমি এটার ব্যবস্থা করে কৃষকের উপকার করছি। তবে খালের মাটি কোথায় যায় এ ব্যাপারে সঠিক জবাব দিতে পারেন নি তিনি। বিক্রির দায় অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন।

৬নং নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমার অফিস কাউকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা অথবা মাটি বিক্রি করার অনুমতি দেই নি। আমি বিষয়টি নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলছি।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সাদিক তানভীর বলেন, আমি মাটি খনন বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেছি।

Comments
Loading...