সারাদেশে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা
বাংলাদেশেরপত্র ডেস্ক: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল ৬টায় গোপালগঞ্জে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অব্স্থায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।
যশোর: যশোরে কুয়াশা কম থাকলেও ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। তবুও শীতকে উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ছুটছেন তারা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে কমে গেছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। শিক্ষকরা বলছেন, ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে ঘর ছেড়ে বের হচ্ছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম।
পঞ্চগড়: গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়। গরম কাপড়ের অভাবে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন ছিন্নমূল মানুষ।
লক্ষ্মীপুর:তীব্র শীতে লক্ষ্মীপুরে গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে চার শতাধিক শিশু। সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ৮০/১০০ শিশু বহির্বিভাগে চিকিত্সা নিচ্ছে বলে শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাঈন উদ্দিন জানিয়েছেন। রোগীর স্বজনরা জানান, জেলা সদর হাসপাতাল ছাড়া উপজেলা কমপ্লেক্সগুলোতে তেমন কোনো ওষুধ দেয়া হয় না। নেই কোনো চিকিত্সক।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে সকালের সূর্য। সামান্য দূরেও দেখা যাচ্ছে না কিছুই। দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এ অবস্থায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার): কুয়াশা, তীব্র শীত ও কনকনে বাতাসে গরম কাপড়ের অভাবে চা বাগানের শিশু, বৃদ্ধরা বিপাকে পড়েছে। শিশুরা সর্দি, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম): তীব্র শীতে উপজেলার তিস্তা চরাঞ্চলে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কাবু হয়ে পড়েছে গবাদি পশু ও পাখি।
কালাই (জয়পুরহাট): উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, থেকে থেকে বৃষ্টি আর তীব্র শৈত্যপ্রবাহে আলুতে ছত্রাকজনিত মড়ক রোগ দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা: গতকাল বেলা ১টা পর্যন্ত হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল জেলা। ট্রেন-বাসসহ সকল যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।