দুই বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে মালদ্বীপে বিক্ষোভের ডাক

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: এক সপ্তাহের মধ্যে মালদ্বীপে দুই বাংলাদেশি খুন এবং ছুরিকাঘাতে দুইজন আহত হওয়ার পর সেখানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মালদ্বীপের হাভেরু অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার ভোরে চার মুখোশধারীর আঘাতে প্রবাসী বাংলাদেশি শাহিন মিয়া খুন হন। মালের সাউথ-ওয়েস্ট হারবার এলাকায় ‘লিয়ানু ক্যাফে’তে কাজ করতেন তিনি।
আর ‘আলিফ আলিফ আতোল থড্ডু’ দ্বীপ থেকে বিলাল নামে অন্য এক বাংলাদেশির লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে মিনিভান নিউজ নামে মালদ্বীপের অন্য একটি ইন্টারনেট সংবাদ মাধ্যম।
স্থানীয় কাউন্সিলের সভাপতি হাসান ইব্রাহীমকে উদ্ধৃত করে এতে বলা হয়, ২০-২৫ বছর বয়সী বিলালের লাশ উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার গলায় একখণ্ড কাপড় জড়ানো ছিল।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে বিলালের ঘরে তার চাকুরিদাতা হোসেইন হাসান লাশটি দেখতে পান। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশ সেখানে পৌঁছে। বিলালের সঙ্গে ওই বাসায় আরও তিনজন প্রবাসী থাকতেন।
দেশটির পুলিশ মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মুখ খোলেনি, কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি। হাভেরু অনলাইনের খবরে বলা হয়, সার্কভুক্ত এই দ্বীপ দেশে গত সপ্তাহে প্রবাসীদের ওপর আরো তিনটি আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাভিরি হিঙ্গুনের টেপকন হার্ডওয়ারের সামনে প্রথম আক্রমণ হয়, যাতে এক বাংলাদেশি আহত হন।
এর ১০ মিনিটের মাথায় একই সড়কের আরেকটি দোকানের সামনে দ্বিতীয় হামলায় ছুরিকাহত হন আরেক বাংলাদেশি। এছাড়া কাছাকাছি সময়ে স্থানীয় মাছ বাজারের কাছে এক ভারতীয়কে ছুরি মারা হয়।
মালদ্বীপের একজন পুলিশ কর্মকর্তা হাভেরুকে বলেন, ওই তিন প্রবাসীর ওপর হামলার সঙ্গে শাহিন মিয়া হত্যাকাণ্ডের কোনো যোগাযোগ তারা তদন্তে পাননি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনায় সেখানে বসবাসরত বিদেশিদের নিরাপত্তার দাবিতে শুক্রবার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
সিএনএম নিউজ নামে মালদ্বীপের একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে এই কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে।
বেসরকারি হিসাবে, তিন লাখ ১৪ হাজার মানুষের দেশ মালদ্বীপে ৭০ থেকে ৮০ হাজার বাংলাদেশি আছেন, যাদের একটি বড় অংশের বৈধ কাগজপত্র নেই।