দুদকের তলবে হাজির হতে পারেন নি পারটেক্স গ্র“প চেয়ারম্যান
স্টাফ রিপোর্টার:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশে হাজির হতে পারেন নি পারটেক্স গ্র“পের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম ও তার দুই ছেলে। গতকাল বেলা ১১টায় প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান দুদকে হাজির হয়ে তার পক্ষে জানান যে, এম এ হাশেম এ মুহুর্তে অসুস্থতাজনিত কারণে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের প্রায় দেড়শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পারটেক্স গ্র“পের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম ও তার দুই ছেলে শওকত আজিজ ও রুবেল আজিজকে এদিন সকাল ১০টায় দুদক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলে দুদক। এরপর তাদের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠান্টির জিএম এসে সময়ের আবেদন করেন।
দুদকে থেকে বের হওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যান স্যার দেশের বাইরে তাই আসতে পারেননি। এটা লিখিতভাবে দুদককে জানানো হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। এদিকে তার দুই ছেলেও এদিন দুদকে হাজির হননি। হাশেমের ছেলে শওকত প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রুবেল আজিজ পরিচালক। জানা গেছে, হাশেম দেশে আসার পর তারা এক সাথেই দুদকে আসবেন। দুদকের কাছে আসা অভিযোগে দেখা যায়, বিদেশ থেকে অপরিশোধিত চিনি আমদানির নামে ২০১১ সালে মাত্র সাত কোটি ৪২ লাখ টাকার এফডিআরের বিপরীতে (১৮০ দিন বিলম্বে পরিশোধের ভিত্তিতে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখায় ১৫০ কোটি টাকার দুইটি এলসি খোলে পারটেক্স সুগার মিলস।এলসির বিপরীতে ৩০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি করলেও তা বিক্রি করে কোনও টাকা ব্যাংকে জমা করেনি। এতে পারটেক্স সুগার মিলসের কাছে সোনালী ব্যাংকের পাওনা দাঁড়ায় ১৩৬ কোটি টাকা। এলসি খোলার আগেও পারটেক্স গ্র“পের ২২ কোটি টাকা দায় ছিল। ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী অনাদায়ী থাকাকালে নতুন এলসি খোলা যায় না।
পারটেক্স সুগারের চারটি এলসির বিপরীতে পাঁচ শতাংশ নগদ অর্থ জামানত হিসাবে দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু নিয়ম ভেঙে প্রতিষ্ঠানটি ও সোনালী ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা ওই চারটি এলসির বিপরীতে জমা রেখেছেন প্রতিষ্ঠানটির এফডিআর (স্থায়ী আমানত)। আর নিয়ম অনুযায়ী এফডিআর থেকে প্রাপ্ত সুদ সব সময় জমা হয় গ্রাহকের হিসাবে। ফলে এলসির বিপরীতে আমানত রাখা এফডিআরের সুদ জমা হয়েছে পারটেক্স সুগারের হিসাবে। অন্যদিকে ব্যাংকের হিসাবের খাতায় কোনো অর্থ জমা হয়নি। এভাবে ১৫০ কোটির টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে সোনালী ব্যাংকের। এসব অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদেরও দুদক কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।