নতুন আঙ্গিকের বিপিএলে ব্যাপক সাড়া
নভেম্বরের ২২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট বিপিএলের তৃতীয় আসর। নতুন আঙ্গিকের বিপিএলে অংশ নিতে আগ্রহীদের ব্যাপক সাড়াও পেয়েছে বিসিবি। ঘোষণা করা হয়েছে ১০ প্রতিষ্ঠানের নাম। তবে তালিকা ছোট হয়ে ৭ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়েই শুরু হবে টুর্নামেন্ট।
প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স অংশ নিতে পারবে না। জানিয়ে দিয়েছে আইসিসি। আর আগের সব ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে কমবেশি সবার কাছেই পাওনা আছে বিসিবি’র, লেনদেন মেটাতে চলছে আইনি লড়াই। নতুন বিপিএলে তাই বিসিবির ইচ্ছা সবকিছুই হোক নতুন করে। সে কারণেই প্রথমে এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট। আর তাতে সাড়া ব্যাপক।
বিসিবি’র পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘নতুনদের ব্যাপারে আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারবো। বোর্ড থেকে আমরা এখনো কোনো গাইডলাইন পাই নাই। সুতরাং আমরা নতুনদের নিয়েই কাজ করবো। এবার সবকিছুই আলাদা আলাদা হবে।
ইওআই জমা দিয়ে বিপিএলে আসার আগ্রহ দেখিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ, স্কয়ার মিডিয়াকম, ডিবিএল, সোহানা গ্রুপ, ব্লুজ কমিউনিকেশন্স, ইনডেক্স গ্রুপ, এক্সিউম টেকনোলজিস, নেট-ওয়ার্ল্ড বিডি, বিবিএস কেবলস এবং বেঙ্গল কমিউনিকেশন্স।
হায়দার মল্লিক বলেন, বিপিএলকে বিসিবি ব্যবসার আকারে চিন্তা করছে না। আগের দুইটা বিপিএলে প্রধান লক্ষ্য ছিলো ব্যবসা। এখন আমরা ওই ধারায় নাই।
তিনি আরো বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা চূড়ান্তভাবে সাতটি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করবো। দশটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যারা ক্রিকেটের জন্য বেশি আগ্রহী, যাদের ক্রিকেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বেশি, ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদেরকেই বেছে নেয়া হবে।
চলতি মাসের শেষ অথবা সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ১০ থেকে বেছে নেয়া হবে ৭ ফ্র্যঞ্চাইজি। নতুনদের মধ্যে প্রাধান্য পাবে যাদের ক্রীড়া অভিজ্ঞতা রয়েছে। পুরনোদের বিষয়ে আগ্রহ নেই বোর্ডের। লেনদেন ফয়সালা হবে আদালতে।
বিপিএলের ব্রিফিংয়ের পর পরই আরেকটি ব্রিফিংয়ে কথা বলেন বোর্ডের আরেক পরিচালক জালাল ইউনুস। তিনি জানান, মেয়ে ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে যাওয়ার বিষয়ে নিরাপত্তাদল পাকিস্তান সফর করে যে রিপোর্ট দেবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। জালাল ইউনুস বলেন, আমাদের মেয়েদের দলটিকে পাকিস্তানে পাঠানোর কথা ছিল অনেক আগেই। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো অনেক দিন ধরে। এর মধ্যে সেখানে ওয়াসিম আকরামের উপর হামলা হয়েছে। পাঞ্জাবের এক মন্ত্রী বোমা আক্রমণে নিহত হয়েছেন। আমরা পাকিস্তানকে নিশ্চয়তা দেইনি। আমাদের নিরাপত্তা দল যাওয়ার পর তাদের প্রতিবেদন যদি অনুকূলে না থাকে তাহলে আমরা দল পাঠাবো না। ওয়াসিম আকরাম ও পাঞ্জাবের মন্ত্রীর ঘটনার কারণে আমরা এখন অন্যভাবে চিন্তা করছি। এখনকার পরিস্থিতি আগের মতো নয়।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে পর্যন্ত পাকিস্তানে ভয়ের কিছু ছিলো না। আমাদের মেয়েদের হ্যান্ডবল দল গিয়েছিলো। তারা যেখানে ছিলো, সেখানকার নিরাপত্তা ভিভিআইপি পর্যায়ের ছিল। ক্রিকেট দলের জন্যেও এমনই চাহিদা আমাদের। আমরা যদি সেটা না পাই, কিংবা আমাদের নিরাপত্তা দল যদি ইতিবাচক কিছু না বলে তবে আমরা কিছুতেই পাকিস্তানে দল পাঠাবো না। পাকিস্তানকে আমরা সরাসরি না করে দেইনি। আমাদের নিরাপত্তা দল ওখানে যাক, তারা তাদের প্রতিবেদন দিক, তারপর দেখা যাবে। অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি মনে করে, সেখানে দল পাঠানোর পরিস্থিতি নেই। তবে আমরা দল পাঠাবো না।’
পাকিস্তানে যাওয়া হোক না হোক, পরের মিশনগুলোকে সামনে রেখে চলছে মেয়ে ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর