নরসিংদীতে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী দীপা হত্যার আসামী আল-আমিনের ফাঁসি
নরসিংদী সংবাদদাতা: নরসিংদী সরকারী কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী ও বেলাব উপজেলার বাজনাব কাজিরটেক গ্রামের মিয়ার উদ্দীনের কন্যা সৈয়দা রিমভী আক্তার দীপা হত্যার ঘাতক আসামী মোঃ আল-আমিন কে দোষী সাব্যস্ত করে জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা নজীব ফাসির রায় ঘোষনা করেন। গতকাল মঙ্গলবার মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা নজীব মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার রায় ঘোষনা করেছেন। দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস পূর্বে বিগত বছরের ৭ মে বিকেলে ভাইজি সৈয়দা সানজিদা ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে নিহত দীপা রাস্তায় ঘুরতে বেড়িয়েছিল। একই দিন বিকেল সোয়া ৫টায় একই গ্রামের সৈয়দপাড়া কামরুজ্জামান খান ডাক্তারের বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে কাচা রাস্তায় পৌছালে পেছন থেকে আসা ঘাতক আল-আমিন এর হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে দীপার মাথায় অতর্কিতে আঘাত করে। মাথায় আঘাত শেষে ঘাতক দীপার ২ হাতে কুপিয়ে জখম করে। তৎক্ষনাৎ নির্মম ঘটনায় দীপা মাটিতে লুটিয়ে পরে। এসময় প্রতিবেশিরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় প্রথমে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে অবস্থা বেগতিক দেখে দীপাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ঘটনার দিন রাত পৌনে ১০ টায় চিকিৎসাধীনকালে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। চাঞ্চল্যকর দীপা হত্যায় তার বড় ভাই সৈয়দ আতিকুজ্জামান অংকর বাদী হয়ে বেলাব থানায় একটি খুনের মামলায় দায়ের করে। গত ৮ মে দায়েরকৃত চাঞ্চল্যকর মামলায় ১৩ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন ও মামলার আলামতের ভিত্তিতে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা নজীব ঘাতক আল-আমিনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে হত্যা মামলাটি পরিচালনা করেন, এডভোকেট মোঃ রুহুল আমীন এবং আসামীপক্ষে ছিলেন, এড. আবুল কালাম আজাদ ও এড. শেখ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ্।