Connecting You with the Truth

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জঙ্গি কানেকশন নিয়ে তদন্ত করছে ইউজিসি

north_south_university       নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক আছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি তদন্ত দল ইতোমধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছে।
গুলশান এবং শোলাকিয়ার সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের অন্তত তিনজন ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র। এর আগেও দেশে-বিদেশে কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা বা হামলার ষড়যন্ত্রের ঘটনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, এ পটভূমিতেই তারা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছেন।
“বার বার বিভিন্ন জঙ্গি হামলার ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসছে। জঙ্গিদের কেউ আগে এখানে ছাত্র ছিল, কেউ এখনো ছাত্র আছে। এর আগে ব্লগার রাজীব হত্যার পর যে ছয়জনকে ধরা হয়েছিল, তাদের সবাই ছিল নর্থ সাউথের ছাত্র। কেন এটা ঘটছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। এটা কি শিক্ষকদের কারণে, নাকি পরিচালনা পরিষদের আশকারার কারণে হচ্ছে, সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।”

north_south_university st    বিশ হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী পড়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে

অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, “নর্থ সাউথে বিশ হাজার ছেলে মেয়ে পড়ছে। সবাইকে তো আর জঙ্গি বলতে পারি না। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক, তাদের মধ্যে কিছু ছেলে জঙ্গি কাজে জড়িয়ে পড়ছে। অতীতেও হয়েছে, এখনো পড়ছে। অর্থাৎ কোন একটি কারণে, ওখানে হয়তো জঙ্গিবাদের কালচারটা হচ্ছে।”
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য ঢাকার সংবাদপত্রগুলোতে আজ বিজ্ঞাপন দিয়েজঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে তাদের প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে।
পত্রিকায় ছাপানো বিবৃতিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুলশান এবং শোলাকিয়ার হামলায় অংশ নেয়া নিবরাস ইসলাম এবং আবির রহমান এক সময়ে নর্থ সাউথে পড়লেও দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল হয়।
অন্যদিকে গুলশান হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল সেই জিম্মিদের একজন হাসনাত করিমও আর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নয় বলে জানিয়েছে তারা।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও বলেছেন, কিছু বিপথগামী যুবকের ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তারাও উদ্বিগ্ন এবং এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপের সঙ্গে তারা সহযোগিতা করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান অবশ্য জানাচ্ছেন, গত বছর অন্য কিছু প্রশাসনিক এবং আর্থিক অনিয়ম তদন্তের সময় তাদের তদন্ত দল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে এমন কিছু বই পেয়েছেন, যা হিজবুত তাহরিরের মতো সংগঠনের মতাদর্শ প্রচার করে। তিনি বলেন, এসব কারণে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, তদন্তে হয়তো এসব বিষয় আসবে।
কোন বিশ্ববিদ্যালয় জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা মঞ্জুরি কমিশনের আছে বলে জানান তিনি।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনেই আছে তারা সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কার্যকলাপে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোনভাবেই কোন পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারবে না। তবে তিনি জানান, কোন বিশ্ববিদ্যালয় এটা করলে তাদের কি হবে সেটা অবশ্য আইনে লেখা নেই।

Comments