নারায়ণগঞ্জ সেভেন মার্ডার, নূর হোসেনের সহযোগী ৭ দিনের রিমাণ্ডে
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের মামলার প্রধান আসামি কলকাতায় গ্রেফতার নূর হোসেনের সহযোগী আবদুর রহমান ওরফে রহম আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রূপমের আদালতে রহম আলীকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্তকারী সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে শুনানি শুরু হয়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ৭ খুনের মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ অন্যান্য আইনজীবীরা। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার বুড়িচং এলাকা থেকে রহম আলীকে গ্রেফতার করেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত রহম আলী ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকার বাহাদুর বিশ্বাসের ছেলে। সিদ্ধিরগঞ্জে নূর হোসেনের যাত্রাপালা, জুয়া ও অশ্লীল নৃত্যের আসর পরিচালনা করতেন তিনি। ৭ খুনের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১ মে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অপহরণের পরপরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ৭ খুনের দুই মামলায় এ পর্যন্ত র্যাবের ১৭ জন সদস্যসহ মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ ১৯ জন আদালতে অপরাধ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়াও ঘটনার সাক্ষী হিসেবে ইতোমধ্যে ১৬ জন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।