বিডিপি ডেস্ক:
অনলাইনে পরিচিতি টিকটকার হিসেবে। তবে টিকটকার ছাড়াও তার আরেকটি পরিচয় রয়েছে। পেশাদার নারী ছিনতাইকারী তিনি! তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮ টি মামলা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই টিকটকার চট্টগ্রামের ‘প্রথম’ নারী ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত ফারজানা বেগম। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, তার স্বামী রুবেল মাত্র ২ দিন আগে এলজি ও ছোরাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী মিলেই একটি ছিনতাইচক্র গড়ে তুলেছে। স্বামীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ফারজানা বেগম (৩৮) ও তার স্বামী মো. রুবেলের বাসা নগরীর দেওয়ানহাটের সুপারিপাড়া এলাকায়। তবে তারা আগ্রাবাদে আক্তারুজ্জামান সেন্টারের আশপাশে ভাসমানভাবে অবস্থান করেন।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ফারজানা টিকটক ও লাইকি করে। কিন্তু সে মূলত একজন ছিনতাইকারী, খুবই দুর্ধর্ষ। কিশোরদের নিয়ে তার নিজস্ব একটি ছিনতাইকারী দলও আছে। সে ছেলে ও মেয়েদের কাছ থেকে আলাদা কৌশলে ছিনতাই করে।
একা চলাচলরত কোনো ছেলেকে প্রথমে টার্গেট করে। এরপর ঠিকানা জিজ্ঞেস করার নামে তাকে থামায়। থামলেই ছুরি দেখিয়ে তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল দিয়ে দিতে বলে। নতুবা তার বিরুদ্ধে ‘ইভটিজিং’ ও ‘যৌন হেনস্থার’ অভিযোগ আনার হুমকি দেয়। এতে ভয়ে সবকিছু দিয়ে দেয় ছেলেরা। আর মেয়েদেরও ঠিকানা জিজ্ঞেস করার ভান করে থামায়। এরপর ছোরার ভয় দেখিয়ে সব ছিনিয়ে নেয়।
ওসি মহসীন বলেন, ফারজানার স্বামী রুবেল মাত্র দুদিন আগে এলজি ও ছোরাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। বর্তমানে রিমান্ডে আছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল জানায়, গত ১৯ জুলাই নগরীর কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লা মোড়ে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফারজানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ মামলার আসামি রুবেল বর্বর প্রকৃতির ছিনতাইকারী। সে মেয়েদের গলার চেইন, কানের দুল ছিনতাই করে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময়ই কান ছিঁড়ে যায়, গলা কেটে যায়।