নিষিদ্ধ ঔষধের প্রতিনিধি সামসুদ্দোহা লাবলূ’র দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি চায় ফরিদপুরের ঔষধ ব্যবসায়ীরা
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি
নিষিদ্ধ ঔষধ না বিক্রি করায় ঔষধ বিক্রেতাকে বেধড়ক মারধর করে হাত ভেঙ্গে দেয়া কোম্পানীর প্রতিনিধি ও তার ভাড়াটে লোকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছে ঔষধ ব্যাবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতারা। ন্যায্য বিচার না পেলে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচীর হাতে নেবে বলে জানায় ব্যবসায়ী নেতারা।
এদিকে মামলা তুলে নিতে নিষিদ্ধ ঔষধের প্রতিনিধি সামসুদ্দোহা লাবলুর লোকেরা নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানায় আহত আলমগীর হোসেন।
বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন, ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ নাজমুল হোসেন লোচন বলেন, ঔষধ বিক্রেতার উপর হামলাকারী কোম্পানী প্রতিনিধির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। এ কোম্পানীর ঔষধ আগে কখনো দেখিনি। কিছু কিছু ডাক্তারকে টাকার বিনিময়ে ব্যবস্থাপত্রে এ ধরনের ঔষধ লিখিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন, ফরিদপুর জেলা শাখার সেক্রটারী সঞ্জিপ কুমার শাহা বলেন, আমরা বিতর্কিত কোন কর্মসূচীতে যেতে চাই না। ঔষধের দোকান বন্ধ করে আমরা রোগীদেরকে ভোগান্তীতে ফেলতে চাইনা। তাই নিষিদ্ধ ঔষিদ্ধ ঐ কোম্পানী প্রতিনিধির দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজবাড়ী মেডিকেল হলের স্বত্তাধীকারী মো. আলমগীর হোসেন (৪০) সান্জ বাংলাদেশ নামের একটি ঔষধ কোম্পানীর প্রস্তুতকৃত নিষিদ্ধ ঔষধ বিক্রি করতে অসম্মতি জানালে কোম্পানীর প্রতিনিধি সামসুদ্দোহা লাবলু ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেয়। প্রতিবাদে ঔষধ ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষনিক ভাবে দোকানপাট বন্ধ করেদেয়। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় শুক্রবার দুপুরে কোতয়ালী থানা পুলিশ সামসুদ্দোহা লাবলুকে গ্রেফতার করে। রবিবার অভিযুক্ত সামসুদ্দোহা লাবলুকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলাহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।#