পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কা নাশকতা কি-না- খতিয়ে দেখা হবে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর পিলারে বার বার ফেরির ধাক্কা চালকের অদক্ষতা না-কি নাশকতা তা খতিয়ে দেখা হবে।
আজ বুধবার দুপুরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফেরির ধাক্কা বার বার কেন? এক বার নয় দুই বার নয় চার চার বার। অদক্ষতার জন্য চালককে শাস্তি দিলেন। চাকরিচ্যুত করলেন। চালকের অদক্ষতা না-কি নাশকতা তা খতিয়ে দেখতে হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বার বার এ ঘটনা কেন ঘটবে? আমাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। এই প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র ছিলো, তা এখনও শেষ হয়নি।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ^ ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গেলে এই সেতু নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। আগামী জুনের মধ্যে যানবাহন চলাচল করবে বলে আশা করছি। সব পিলার নির্মাণ শেষ হয়েছে। এ কথা বলছি এ কারণে যে গত এক মাসে চার বার সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লেগেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার রাজনৈতিক সরকার। রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নেন, আমলারা তা বাস্তবায়ন করেন। সরকার সঠিক পথেই আছে। সব পলিসি নির্ধারণ করেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। সরকার আমলা নির্ভর নয়।
করোনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনে রাখতে হবে স্থায়ী লকডাউন কোনো সমাধান নয়, যদি আমরা সচেতন না হই। সচেতন হয়ে অদৃশ্য শত্রু করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। এর জন্য গণটিকা সফল করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম রাজনৈতিক হত্যার শিকার জুলিয়াস সিজার। শেক্সপিয়ার এই হত্যাকান্ডকে যেভাবে বর্ণনা করেছেন ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর তিনি যদি জীবিত থাকতেন তাহলে সেক্স পিয়ার বলতেন পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য, মর্মান্তিক হত্যাকান্ড হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডকে অভিহিত করতেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, সহ-সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু ও আব্দুস সালাম প্রমুখ।
আবদুর রহমান বলেন, করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য। শোককে শক্তিতে পরিনত করে মানুষের পাশে দাঁড়াবো। মানুষ যদি স্বস্তি ও শান্তি পায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের আত্মাও শান্তি পাবে।
আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ১৫ আগস্টের মাধ্যমে তারা বুঝাতে চেয়েছিল একটা পরিবারের বাড়াবাড়ির কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে। আসলে এটি ছিল ষড়যন্ত্রের নীলনকশা। তারা চেয়েছিল মানুষকে কনফিউজড করে দিতে। সময়ের ব্যবধানে সে সত্য উন্মোচিত হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারি ছিলেন জিয়াউর রহমান।