পারমাণবিক বোমা সম্পর্কে ১০ অজানা তথ্য
আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর লিটল বয় এবং এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ফ্যাটম্যান নামের আরেকটি পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়। জেনে নিন পারমাণবিক বোমা সম্পর্কে ১০ অজানা তথ্য।
১. আমেরিকার অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোতে ‘পারমাণবিক বোমা জাদুঘর’ রয়েছে কারণ সেখানে পৃথিবীর সর্বপ্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরিত হয়েছিল। কিন্তু বছরে মাত্র ১২ ঘণ্টা জাদুঘরটি খোলা থাকে।
২. পারমাণবিক বোমার জনক রবার্ট ওপেনহেইমার তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে বিষযুক্ত আপেল খাইয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন।
৩. পৃথিবীর ইতিহাসে একটি পারমাণবিক বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় হারানো হয়েছিল জর্জিয়ার উপকূলে যা এখনো পাওয়া যায়নি।
৪. রাশিয়াই একমাত্র দেশ যে দেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, প্রায় ৮,৪০০টি।
৫. স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে আমেরিকা তার মিলিটারি সামর্থ্য দেখাতে সত্যি সত্যি চাঁদের উপর পারমাণবিক বোমা ফোটাতে চেয়েছিল।
৬. জাপানের হিরোশিমা আর নাগাসাকি এখন আর তেজস্ক্রিয় নয় কারণ বোমাটি মাটিতে আঘাত হানার আগেই বায়ুতে বিস্ফোরিত হয়েছিল।
৭. এক লোক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোসিমা এবং নাগাসাকি দুটো দুর্ঘটনাতেই বেঁচে থাকতে পেরেছেন।
৮. জাপানের নাগাসাকিতে যে পারমাণবিক বোমাটি বিস্ফোরিত হয়েছিল তার কোড নাম ছিল ‘ফ্যাটম্যান’।
৯. নাগাসাকিতে যে বোমাটি ফেলা হয়েছিল সেটি ফেলার জন্য প্রধান টার্গেট ছিল জাপানের ‘ককুরা’ নামক জায়গা। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়।
১০. ১৬৬২ সালে রোপণ করা একটি বনসাই গাছ হিরোশিমা এবং নাগাসাকি ঘটনায় বেঁচে গিয়েছিল সেটি এখন আমেরিকার একটি জাদুঘরে রক্ষিত আছে। বিডিপত্র/আমিরুল