পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে দোয়ারাবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানি বন্দী শতাধিক গ্রামের মানুষ
আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনের টানা অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দী হয়ে আছে প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষজন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ও রোপা ধানের বীজতলাসহ কয়েক শতাধিক পুকুর। বন্যার পানিতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে সবকটি ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বর্তমানে উপজেলার খাসিয়ামারা, চিলাই, চেলা, মরা চেলা সহ সবকটি পাহাড়ি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদী ও আশ পাশের হাওরগুলোর পানি বিপদসীমা অতিক্রান্ত করেছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার সুরমা ও লক্ষীপুর ইউনিয়নের আলীপুর, নূরপুর,সোনাপুর, বৈঠাখাই, বড়কাটা, মহব্বত পুর, টিলাগাঁও, খাগুরা, জিয়াপুর, গোজাউরা, বক্তারপুর, ভোজনা ও গিরিশনগর সহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয়ে পরেছে। বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র আকার ধারন করেছে। বৃষ্টির কারনে জীবিকা অর্জনে বেড়ুতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষরা ফলে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন এসব পরিবার। মহব্বত পুর বাজারে হাটু সমান পানি হওয়ায় উদিগ্ন ব্যবসায়ীরা।দোয়ারাবাজার-বগুলা সড়কের নিকটবর্তী রাস্তা, বাংলা বাজার (ব্রিটিশ) এক কিলোমিটার রাস্তা, টেংরাটিলা-আলীপুর অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা, ফসল রক্ষা বাধ(জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধ) ,নূরপুর-আলীপুর সংযোগ রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় অত্র এলাকাদ্বয়ের সাথে দোয়ারাবাজার উপজেলার সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে হুমকির সম্মুখীন আলীপুর-নূরপুরের নিকটবর্তী ফসল রক্ষাবাঁধ (জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধ), সমুজ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সীমানা প্রাচীর, নূরপুর জামে মসজিদ সহ কয়েক শতাধিক মৎসখামার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও রাস্তাঘাট।ইতোমধ্যে জোড়খলা আবোড়া বেড়িবাঁধের একাংশ ও এলাকার বেশ কয়েকটি পুকুর ভেঙে গেছে। সুরমা ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলে অবস্থিত “মুহিবুর রহমান মানিক সোনালি নূর উচ্চ বিদ্যালয় ” মাঠে এবং আলীপুর বাজারের একাংশে হাঁটু সমান পানি উঠেছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সাইফুল ইসলাম বলন, জেলার উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। আমারা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্তদেরকে অন্যত্র সড়ানো হবে। এ ব্যাপারে পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয়দেরকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর