পীরগঞ্জে মামার পা কেটে নিল ভাগ্নে
পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জে ভাগ্নে কর্তৃক মামার পা কর্তনের ঘটনা ঘটেছে। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার গবর্ধানপুর গ্রামের কৃষক খাজা মিয়ার শরীর থেকে বাম পা বিচ্ছিন্ন করেছে ভাগ্নেরা। গুরুত্বর আহত খাজা মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে খাজা মিয়া বাড়ির পাশে চককরিম গ্রামের অদূরে মাঠে জমিতে আমন ধানের বীজ বুনতে যান। এ সময় বড় ভাই রাজা মিয়া দুই ভাগনে শরিফুল ইসলাম ও আজিজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ওই মাঠে খাজা মিয়ার উপর হামলা চালিয়ে প্রচুর মারধর করে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালী শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেন পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন খাজা মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জানা যায়, দুই ভাই রাজা মিয়া ও খাজা মিয়ার মধ্যে বসতভিটার পৈতৃক ১০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর সূত্র ধরে রাজা ও তাদের ভাগ্নেরা মিলে এঘটনা ঘটায়।
কৃষকের পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, পা কর্তনের বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি।