পুষ্টিকর চিনির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?
অন্যন্য ডেস্ক:
চিনি বলতেই আমরা স্বাভাবিকভাবেই জানি যে এটি এমন একটি খাবার যা মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়, বেশি চিনি খাওয়া শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। আর ডায়বেটিক রোগী হলে তো কোনো কথাই নাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই পুষ্টিকর খাবারটির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি? আমরা কি আসলেই জানি যে এই চিনি আমাদের দেহে ঠিক কী ধরনের কাজ করে থাকে? আমেরিকান ডায়বেটিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন স্বাস্থ্য সভাপতি এবং অ্যাবট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির বর্তমান বিজ্ঞান বিষয়ক পরিচালক কারমিন কুলকার্নি আমাদের দেহে এই গুরুত্বপূর্ণ ইনফোগ্রাফিক উপকরণ সুগারের কার্যকারিতা একটি ছবির মাধ্যমে বুঝিয়েছেন। আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। সুগার এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যা এক পর্যায়ে গ্ল“কোজে পরিণত হয়। আর এই গ্ল“কোজ দেহে
এনার্জি যুগিয়ে থাকে।
সুগারের ধারাবাহিক কার্যক্ষমতা :
ছবিতে দেখে জেনে নিন সুগারের কার্যকারিতা ঠিক কিভাবে কাজ করে আমাদের শরীরে।
১. আমরা চিনি খাচ্ছি
২. স্যালাইভা এনজাইম তা ভাঙছে
৩. গ্যাস্ট্রিক রস এবং ইনটেস্টাইন একসাথে বিক্রিয়া করে গ্ল“কোজে রুপান্তর
৪. রুপান্তরিত গ্ল“কোজ রক্তনালীতে প্রবেশ
৫. গ্ল“কোজ উদ্দীপিত হয়ে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন তৈরি
৬. পেশীতে এনার্জী তৈরি
৭. পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য কিছু ব্লাড সুগার পেশী এবং লিভারে জমা হয়
৮. অতিরিক্ত ব্লাড সুগার ফ্যাটে রুপান্তরিত হয়।
সুগারের উপকারিতা :
– শরীরের যাবতীয় কাজ পরিচালনার জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনির প্রয়োজন হয়।
– ব্রেন এবং রক্তনালীতে শক্তি উৎপাদনের জন্য চিনি একমাত্র উপাদান।
– মানবদেহের রক্তনালীতে সুগারের স্বাভাবিক মাত্রা হওয়া উচিৎ ৫ গ্রাম যা এক চা চামচের সমতুল্য।
– দেহের প্রত্যেকটি কোষ এনার্জি উৎপাদনের জন্য গ্ল“কোজ ভাঙতে সহায়তা করে।