Connecting You with the Truth

পেছাল জুবায়ের হত্যার রায়

verdict picস্টাফ রিপোর্টার:
কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলার রায় পিছিয়ে গেছে। ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণার নতুন দিন রেখেছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলি তাসলিমা ইয়াসমিন দিপা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “রায় প্রস্তুত থাকলেও অবরোধে কারণে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে না পারায় বিচারক রায় ঘোষণা পিছিয়ে দেন।” তিন বছরের বেশি সময় বিচার চলার পর গত ২৮ জানুয়ারি বিচারক নিজামুল হক গত কাল এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন রেখেছিলেন। একইসঙ্গে মামলার সাত আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওই দিন।
তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র নাজমুল হাসান প্লাবন, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ, ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান, পরিসংখ্যান বিভাগের শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ড ওরফে অভি ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের নাজমুস সাকিব তপু। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইছ, জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, রাশেদুল ইসলাম রাজু, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম। এদের মধ্যে আশিক, রইছ, আকরাম ও অরূপ শুনানি চলাকালে কাঠগড়া থেকে পালিয়ে যান। মাহবুব আকরাম ছাড়াও নাজমুস সাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। নিহত জুবায়ের এবং আসামিরা সবাই সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। এ ঘটনায় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান আশুলিয়া থানায় এই হত্যা মামলা করেন। ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে ঢাকার হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ। হত্যাকাণ্ডের দেড়বছর পর মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এলে তা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। জুবায়ের নিহত হওয়ার পর ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে পদত্যাগে বাধ্য হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়কার উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির।

Comments
Loading...