প্রেসক্লাবের কার্যক্রমে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা চেম্বারে স্থগিত
জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। এই আদেশের ফলে বর্তমান কমিটির কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার রাতে হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।এ সময় প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারপতি শরিফ উদ্দিন চাকলাদারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটির কার্যক্রমের ওপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। এতে বর্তমান কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১ জনকে বিবাদী করা হয়।
গত ১০ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির কার্যক্রমকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন ঢাকার একটি বিশেষ আদালত।
গত ২৮ মে আওয়ামী লীগপন্থি সাংবাদিক নেতা ও বিএনপিপন্থি সাংবাদিক নেতাদের একাংশের উদ্যোগে মুহাম্মদ শফিকুর রহমানকে সভাপতি এবং কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে সমঝোতার কমিটি গঠিত হয়। মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও আমিরুল ইসলাম কাগজীকে সহ-সভাপতি করা হয়।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয় আশরাফ আলী ও ইলিয়াস খানকে। আর কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনীত হন কার্তিক চ্যাটার্জি।
সদস্য পদে আমানুল্লাহ কবীর, খন্দকার মনিরুল আলম, আজিজুল ইসলাম ভূইঞা, সাইফুল আলম, মোল্লা জালাল, শ্যামল দত্ত, শামসুদ্দিন আহমেদ চারু, সরদার ফরিদ আহমাদ, শামসুল হক দূররানী এবং হাসান আরেফিনকে মনোনীত করা হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পর জাতীয় প্রেসক্লাবে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গত ৩১ ডিসেম্বর কামাল উদ্দিন সবুজ ও সৈয়দ আবদাল আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচন নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। তফসিল হলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি `পরিবেশ নেই` বলে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানায়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক সাংবাদিকদের একাংশ বৈঠক করে সমঝোতার কমিটি গঠন করে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ