বগুড়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের প্রতিবাদে এলাকা বাসীর মানববন্ধন
রাজশাহী ব্যুরো:
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কর্তিক মিথ্যা মানববন্ধনের প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন পালন করেছে। রবিবার ২৮ এপ্রিল দুপুরে বগুড়ার ঐতিহাসিক সাতমাথ চত্বরে গাবতলী সদর ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড বাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এলাকা বাসীর পক্ষে সরদ ইউপির ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনে খান স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন শনিবার ২৭ এপ্রিল সকালে (রবিবার পত্রিকায় প্রকাশ) ঐতিহাসিক সাতমাথায় জামাত-বিএনপি পৃষ্টপোসক উপজেলার সারোটিয়া এলাকার আব্দুল মজিদ খানের ছেলে মতিউর রহমান মিলন এবং গাবতলী থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যসায়ী নজরুল ইসলাম ওরফে কানা নজরুলের সহয়োগিতায় মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবার সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক খান ও আলম খানের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী ও ভূমিদস্যূর অভিযোগ এনে মিথ্যা মানববন্ধন করে। রবিবার ২৮ এপ্রিল সকালে পত্রিকায় মিথ্যা মানববন্ধনের সংবাদ প্রকাশ হলে প্রতিবাদে এলাকার জনসাধারন সতশপূর্ত ভাবে রবিবার দুপুরেই ঐ সাতমাথায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদী মানববন্দন পালন করেন। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করন আ. রাজ্জাক ও আলম মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। জন্মগত ভাবেই তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িয়ে আছে। রাজ্জাক একজন গরু ব্যবসায়ী তার নুজস্ব গরুর খামার রয়েছে এবং আলম একজন মাছ ব্যবসায়ী এলাকায় তার কয়েকটি পুকুর রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা মতিউর রহমান মিলনের চাচা স্হানিয় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে কানা নজরুল দীর্ঘদিন যাবৎ যাবতীয় মাদক ব্যবসা করে আসছে কিচুদিন পূর্বে তার বসতবাড়ী থেকে গাবতলী থানা পুলিশ বিশাল বড় একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছেন এবং চকসেকেন্দার পাকারমাথা এতিম হাফিজিয়া মাদ্রাসার দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ উক্ত মতিউর রহমান মিলন সহ অত্র এলাকার জামাত-বিএনপি কর্তৃক পরিচালনা করে আসছিল। অত্র মাদ্রাসার আয় ব্যায়ের হিসাব সনসম্মুক্ষে প্রকাশ নাকরায় সাত গ্রামের মানুষ উক্ত পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করেন। নতুন কমিটিতে আ. রাজ্জাককে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও আলমকে সদস্য করায় বিভিন্য হয়রানী ও হামলার শিকার হচ্ছে তারা। আরো উল্লেখ করেন মতিউর রহমান মিলন ও নজরুল ইসলাম ওরফে কানা নজরুল নিজেরাই মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সাথে জড়ীত। অথচ তারাই আরেক জনের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার ও র্যাব-১২ বগুরায় অভিযোগ করেছ। সবশেষে জাতীর বিবেক সাংবাদ কর্মিদের প্রতি দোষিদের চিহ্নিত করার আহবান জানান। পরিশেষে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের আবেদন করেন পুলিশ সুপার বরাবর।