বঙ্গোপসাগরে কয়লাবাহী জাহাজ ডুবি
সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ‘এমভি আইজগাঁতি’ নামে একটি কোস্টার জাহাজ ডুবে গেছে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মংলা বন্দরের প্রায় ১৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের সাত নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় ডুবো চরে ধাক্কা লেগে কয়লা বোঝাই কোস্টারটি ডুবে যায়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কোস্টারে থাকা ১২ জন নাবিক ও ৪ জন নিরাপত্তাকর্মীকে উদ্ধার করেছে বসুন্ধরা-৩৭ নামে ফ্লাইঅ্যাস বোঝাই অপর একটি কোস্টার জাহাজ। কোস্টারটি মংলা বন্দরের ১২ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া থাকা এমভি লেডিমেরী জাহাজ থেকে এক হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে যশোরের নওয়াপাড়া যাচ্ছিল।
স্থানীয় স্টিভিডরস্ মেসার্স নুরু অ্যান্ড সন্সের স্বত্ত্বাধিকারী এইচ এম দুলাল বলেন, নওয়াপাড়া ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৪৮ হাজার মেট্রিকটন কয়লা আমদানি করে। বৃহস্পতিবার রাতে আমদানি করা ওই কয়লা মাদার ভ্যাসেল এমভি লেডিমেরী জাহাজ থেকে খালাস করে এমভি আইজগাঁতি কোস্টারে তোলা হয়। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে কয়লা বোঝাই কোস্টারটি নওয়াপাড়ার উদ্দেশে রওনা হলে বঙ্গোপসাগরের সাত নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় পৌঁছে ডুবোচরে ধাক্কা খায়। এতে কোস্টারটির তলাফেটে যায়। পরে তাতে পানি উঠে ধীরে ধীরে তলিয়ে যায়। এসময় পাশ দিয়ে যাওয়া বসুন্ধরা-৩৭ নামে ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই অপর একটি কোস্টার জাহাজ ডুবে যাওয়া কোস্টারের ১২ জন নাবিক ও ৪ জন নিরাপত্তা কর্মীকে তাদের কোস্টারে তুলে নেয়।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো: ওয়ালিউল্লাহ জানান, বন্দরের প্রায় ১৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের সাত নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় কয়লা বোঝাই কোস্টারটি ডুবে গেছে। যে এলাকায় কোস্টারটি ডুবেছে ওই এলাকা সব সময় উত্তাল থাকে। সাগর উত্তাল থাকায় ডুবে যাওয়া কোস্টারটির অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া ট্রেডার্সকে ডুবে যাওয়া কোস্টারটি উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে গতবছর মার্চে ১ হাজার ২৩৫ টন কয়লা নিয়ে সি হর্স-১ নামে একটি কোস্টার তলা ফেটে সুন্দরবনের শেলা নদীতে ডুবে যায়। ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ওই শেলা নদীতেই ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ নামে একটি অয়েল ট্যাঙ্কার ডুবে বিস্তীর্ণ এলাকায় তেল ছড়িয়ে ব্যাপক দূষণের শঙ্কা তৈরি হয়।