বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে তেঁতুলিয়া বাসীর ৬৯ বছরের পথ চলা
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড়: ইতিহাস ঐতিহ্যের অগণিত স্মৃতিমণ্ডিত বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জনপদ হিমালয় কন্যাখ্যাত পঞ্চগড়ের সীমান্ত সড়ক। শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এ জনপদ। ৪৭ সালে দেশ বিভক্তির সঙ্গে ভাগ হয়ে যায় শত বছরের ঐতিহ্যে ও দুই দেশের সীমান্ত ।
সীমান্তের জিরো লাইন ঘেষে উপজেলা বাসীর ৬৯ বছরের পথ চলা। সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল ভারত বাংলাদেশে বন্ধু সমপর্কের মধ্যে উজ্জল দৃষ্ঠান্ত। গত ৬৯ বছরের এই সড়ক জিরো লাইনে হয়েও বাংলাদেশীদের চলাচলে ভারতের কোন বাধা পরেনি।
এখানকার মনরোম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আকর্ষন করেছে দেশ বিদেশের পর্যটকদের । ঐ পাড়ে ভারত আর এপাড়ে বাংলাদেশ মধ্যে খানে ৫ ফিটের ব্যবধান।এক ঢালা সমতল ভূমি। সড়কের পার্শেই ভারতীয়রা গড়ে তুলেছে চা বাগান। দু’দেশকে ভাগ করেছে সীমান্ত পিলার ।
সড়কের পার্শের চা বাগান ভারতের না বাংলাদেশের সীমান্ত পিলার না দেখে কিছুতেই বুঝা যায় না। সড়ক থেকে ১৫০ গছ দুরে ভারতের কাটা তারের বেরা। আপনি ভুলেও চা বাগানে যাবেন না। সীমান্ত অতিক্রম নিষেধ।
আর এমন সীমান্ত সড়কের দৃশ্য যে কেউ দেখতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিযা উপজেলায়, উপজেলা সদরের ৫ কি: মি: পূর্বে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়ার প্রবেশ মুখে প্রায় ১ কি: মি: সীমান্ত জুরে এই সড়ক। যেখানকার নযনাভীরাম সৌন্দর্য আপনার মন কারবে এমন প্রকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা এই স্থান নিরিবিলি পরিবেশ জাতির জীবনে খনিকের জন্য মানুষকে দিতে পারে অনাবিল আনন্দ। সড়কের উপর দাড়ীয়ে আপরন উপভোগ করতে পারবেন ভারতের চা বাগানের প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সৌন্দর্য।
এই সড়র দিয়ে তেঁতুলিয়ায় এসেছিলেন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট প্রধান ও বিদেশী অনেক কুটনৈাতিক। বর্তমানে সড়কের প্রবেশ মুখ থেকে তেঁতুলিয়া সদরের বাহির দিয়ে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের জন্য বাইপাস এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক নির্মান হয়েছে। তাই আপনিও ঘুরে আসুন পঞ্চগড় শহর থেকে ৩৫ কি: মি: দুরে তেঁতুলিয়ার এই সীমান্ত সড়ক।