বাগেরহাট শরণখোলায় শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার ছাত্রী মৃত্যুমুখে
শরণখোলা ( বাগেরহাট ) প্রতিনিধি: শরণখোলার পল্লীতে কলেজ শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার এক ছাত্রীর জীবন মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। ছাত্রীর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর এলাকায় অবস্থিত শরণখোলা ডিগ্রি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মিজানুর রহমান একই কলেজের এইচএসসি ভোকেশনাল শাখার ছাত্রী ( ২০ ) কে প্রাইভেট পড়াতেন। ঐ ছাত্রীর দারিদ্র ও সরলতার সূযোগ নিয়ে পরে বিয়ের প্রলোভন দেন ঐ প্রভাষক। পরে মেয়েটিকে খুলনা বিশ্ব্যবিদ্যালয়ে লেখাপড়া করানোর নামে খুলনা দৌলতপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে ধর্ষন করে। ছাত্রী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে মিজান তাকে গ্রহন করতে অস্বীকার করে। স্ত্রীর অধিকার ও গর্ভের অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে মেয়েটি সম্প্রতি বাগেরহাট আদালতে মামলা করেন। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর নেতৃত্বে গত ৭ ফেব্রুয়ারী জোর করে ঐ ছাত্রীর গর্ভের সন্তান মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে, গোপনে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স সোরজী রানী হালদারের সহায়তায় নষ্ট করা হয়। এতে ঐ ছাত্রীর জরায়ুতে প্রচুর রক্ত ক্ষরন হলে গত ১৬ ফেব্রেয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্ত্বিপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। সমাজ পতিরা সালিশ মিমাংসার নামে নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ধার্য করে ঐ পরিবারটিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্থানীয় দিপচর গ্রামের বাসিন্দা ওহিদুজ্জামান সওদাগর কাছে জমা দেন। এ সময় ঐ ছাত্রীর কাছ থেকে স্টাম্প ও সাদা কাগজে কয়েকটি স¦াক্ষর নেয় শালিশরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভূক্তভোগী ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, স্থানীয় একাধিক কূচক্রী প্রভাবশালী মহল রয়েছে যারা সবসময় মানুষের দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আখের ঘোছাতে লিপ্ত থাকে। অন্যদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানা জানি হলে প্রভাষক মিজান গাঁ ঢাকা দেন। এ বিষয়ে শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্য ( ওসি ) রেজাউল করিম জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন, তবে ক্ষতিদ্রস্থদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনি সহায়তা দেবেন বলে জানান।