Connecting You with the Truth

বাঘায় চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী বাঘা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই আগাম সম্ভাবনাকে লক্ষ্য করে আম বাগানের পরিচর্যায় ব্যাপক মনোযোগী হয়ে উঠেছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। শুরু হয়েছে গাছের ক্ষতিকর পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগের পালা। পোকা মাকড়ের আক্রমণের ফলে শতকরা ১০০ ভাগ পর্যন্ত আম নষ্ট হতে পারে। তাই আমের বাগানে মুকুল আসতে না আসতেই শুরু হয়েছে পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাঘা উপজেলার ২টি পৌরসভা আড়ানী ও বাঘা ৬টি ইউনিয়ন বাজুবাঘা, দাদপুর গড়গড়ী, পাকুড়িয়া, মনিগ্রাম ও বাউসা এলাকায় ব্যাপক আমের বাগান রয়েছে। তাতে কিছু কিছু গাছে নির্ধারিত মৌসুমের আগেই মুকুল দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার বাগান মালিকরা জানান, গত বছর আশানুরূপ আম না হওয়ায় এবার বিপুল পরিমাণ আম উৎপাদন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যা দিয়ে গত বছরের লোকসানও কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। উপজেলার মনিগ্রাম এলাকার বিশিষ্ট আম ব্যবসায়ী মো. জিন্নাত আলী জানান, তার নিজস্ব প্রায় ১৫-১৬ বিঘা জমিতে আমের বাগান রয়েছে। আগের বছরগুলোতে আমের মুকুল আসত আগে-পিছে কিন্তু এবার গাছের পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে একই সাথে সকল গাছেই মুকুল আসবে। গত বছর আবহাওয়া ভাল না থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আম পাওয়া যায় নি। তবে এবার যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে আমার নিজস্ব আম বাগান থেকে ৭’শ থেকে ৮’শ মণ আম পাওয়া যাবে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। একই এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. দুলাল হোসেন মোল্লা ও বাগান মালিক প্রভাষক মকলেছুর রহমান টুটুল জানান, তাদের উভয়ের প্রায় ১৮-২০ বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে তাতে এবার ঠিক মত আম আসলে আনুমানিক ২০-২৫ লক্ষ টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম বলেন, বছরের জানুয়ারি মাসে বৃষ্টি হলে আম গাছে কচি পাতা জন্মায়। কিন্তু এ বছর জানুয়ারির ২৮ দিন গেলেও বৃষ্টি হয় নি। ফলে আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তবে উপজেলার সকল আম বাগান মুকুলে ছেঁয়ে যাবে। সামনে ঝড়-বৃষ্টি না হলে আমেরও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেন তিনি।
উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের মতে, এই এলাকায় মোট বাগান গুলোর মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগ লখনা আম, শতকরা ২০ ভাগ নাবি জাতের আশ্বিনী আম, শতকরা ২০ ভাগ ফজলী আম এবং শতকরা বাকি ২০ ভাগ ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খেরশাপাত ও অন্যান্য গুটি প্রজাতির আম রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.