Connecting You with the Truth

বাঘায় শীতের তীব্রতায় বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়া

2222222222222

সেলিম ভান্ডারী, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় টানা দু’দিনের বৃষ্টির পর শীতের তীব্রতায় বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়া। কনকনে শীত ও কোয়াসায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জ্বর সর্দিসহ ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। এ সব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষ। হাসপাতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের অবস্থা নাজুক।
উপজেলার আড়ানী, বাউসা, বাজুবাঘা, মনিগ্রাম, গড়গড়ি, পাকুড়িয়া, ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। দিনমুজুর, শ্রমজীবী মানুষ কর্মবিমুখ হয়ে পড়েছে শীতের তীব্রতায়। অসহায় মানুষের এমনিতেই তিন বেলা খাবার জোটেনা তার পর শীতে গরম কাপর কেনা তো দুরের কথা। পরপর দু’দিনের বৃষ্টির পর শীত জেকে বসতে শুরু করলেও শীতবস্ত্র বিতরনে এগিয়ে আসেনি সরকারিভাবে। এ যাবত পর্যন্ত সরকারিভাবে সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় প্রথম দফায় এক হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম দ্বিতীয় দফায় সরকারিভাবে শীতস্ত্র বরাদ্দের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান। তবে বে-সরকারিভাবে কোন কোন এলাকায় শীতস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা জায়, বাঘা উপজেলায় প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানষের বসবাস। দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের সংখ্যায় বেশি। তারা শীতে গরম কাপড় কিনতে পারেনা। ছেলে মিয়েদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাপন করে। তারা অনেকটা সাহায্যে উপর নির্ভশীল। নুরনগর গ্রামের নিরীহ দিন মুজুর সাধন প্রামানিক জানান, গতবার শীতে সাংবাদিকের মাধ্যমে একটি সুয়েটার পেয়েছিলাম, কিন্তু এবার তাও পায়নি। এবারে পেলে কিছুটা শীত নিবারন হতো। অপর দিকে গোচর গ্রামের ভ্যান চালক জাহিদ, হামিদকুড়ার রাহেলা, পরিজান বেগম অভিযোগ করে জানান, এতো শীত যাচ্ছে কোন দিন শীতের গরম কাপড় সাহায্য হিসেবে পায়নি। আমাদের দিকে কেউ কোন দিন খেয়াল করেনা। অনেকবার এলাকার নেতাদের বলেছি কিন্তু বলে লাভ হয় না।
আড়ানী আলহাজ্ব এরশাদ আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহাবাজ জানান, দুস্থ মানুষকে শীত থেকে বাচাতে গরম কাপড় বিতরনের উদ্দ্যোগ নেয়া উচিত সরকারি বা বে-সরকারি সহৃদ ব্যক্তিসহ সবাইকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম জানান, আগের চেয়ে বর্তমানে প্রতিদিন শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বেশি।

Comments
Loading...