বাবা-মার কোলে ফিরে গেল শিশু নিরব
পঞ্চগড়: নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ শিশু নিরব অবশেষে চারদিন পর বাবা-মার কোলে ফিরে গেছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড় সদর থানায় বাবা আজাদ খাঁ এর হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়।
এর আগে, গত শনিবার (২১ আগস্ট) দিনগত রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের স্টেশন এলাকার সিএন্ডবি রাস্তার সামনে থেকে স্থানীয় গালামাল ব্যবসায়ী মাসুদ শিশুটিকে পেয়ে সময় টেলিভিশনের পঞ্চগড় প্রতিনিধি আবদুর রহিমকে জানালে তার সহযোগিতায় থানা পুলিশের হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়।
রোববার (২২ আগষ্ট) দুপুরে শিশুটির তথ্য মতে শিশুটির ছবি নাম ও বাবার নাম ঠিকানা ফেসবুকে দেয়া হলে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক মেহেদী নূরের সহযোগিতায় শিশুটির বাবাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়।
সোমবার বিকেলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে থানা পুলিশের মাধ্যমে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়। শিশুটিকে হাতে তুলে দেয়া হলে ছেলেকে পেয়ে একসময় আনন্দের কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা আজাদ খাঁ।
ছেলেকে ফিরে পাওয়ার পর সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাবা আজাদ খাঁ বলেন, গত চারদিন ধরে নানার বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু নিরব। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক এর মাধ্যমে ছেলের সন্ধান পাই।
ছেলে নিরব পঞ্চগড়ে সাংবাদিক আব্দুর রহিম ও সোহাগ হায়দার এর মাধ্যমে থানায় রয়েছে। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার সহযোগিতা করায় সাংবাদিকসহ পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ সদস্যদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানায়।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর থেকে আমতলী চান্দুরায় নানাবাড়িতে যায় শিশু নিরব। সেখান থেকে কাউকে না কিছু বলে ভুল করে ট্রেনে করে পঞ্চগড় চলে আসে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড় সদর থানায় বাবা আজাদ খাঁ এর হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) বেনজীর আহমেদ, সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসু বেগম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভবেশ চন্দ্র, সাংবাদিক আব্দুর রহিম,সোহাগ হায়দার, আব্দুর রউফ,মনজুর হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা শিশুটির ফুপা সোহাগ।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা পিপিএম জানান, শিশুটিকে তার বাবা মা’র কোলে ফিরিয়ে দিতে সহযোগিতা করায় সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান আপেল/বিডিপি