Connecting You with the Truth

বিতর্কিত বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু

It-is-a-mysteryআন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামেন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত’ যে বক্তব্য রেখেছেন, তার প্রেক্ষিতে মার্কিন সংসদের প্রধান স্পিকার তাকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে তার ভাষ্য উপস্থানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। নেতানিয়াহু তাতে সাড়া দিয়েছিলেন। আগামী মঙ্গলবার, ৪ মার্চ তিনি কংগ্রেসের সামনে তার ‘জবাবদিহিতা’ উপস্থাপন করবেন। নেতানিয়াহুর বক্তব্যের বিষয়বস্তু ছিল ইরান। তার ভাষ্য অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিসহ আরও বেশ ক’জন কূটনীতিক তার এ বক্তব্যের বিরোধীতা করেছেন। কেরি বলেছেন, ইরানের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। জেনেভার আলোচনায় যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এ মুহূর্তে নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্য শিশুসুলভ। নেতানিয়াহু রোববার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসে পৌঁছেছেন। আসার পরপরই বিকেলে জন কেরির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন তিনি। সাক্ষাতে গুরুতর কোনো বিষয় নিয়ে কথোপকথন হয়নি। নেতানিয়াহুর একজন সফরসঙ্গী গণমাধ্যমকে জানান, তারা মূলত মার্কিন জনগণের ভুল ভাঙাতে এসেছেন। বোঝাতে এসেছেন, ইসরায়েল ওবামা সম্মান করে, তাকে আঘাত করার কোন উদ্দেশ্য কারও বক্তব্যে ছিল না। আগামীকাল সোমবার থেকে নেতানিয়াহুর মূল কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথমেই আমেরিকান-ইসরায়েল পাবলিক অ্যায়েয়ার্স কমিটি- আইপেকের সঙ্গে আলাপে বসবেন তিনি। ওয়াশিংটনে কর্মরত জাতিসংঘের প্রতিনিধি সামান্তা পাওয়ার এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার উপদেষ্টা সুজান রাইস আইপ্যাকসহ নেতানিয়াহুকে বক্তব্যের মাধ্যমে বেশ এক চোট নিয়েছেন। বিতর্কিত বক্তব্যে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ওয়াশিংটন এবং ওবামার প্রতি তার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। তারপরও বলতেই হচ্ছে, ইরানের প্রতি সঠিক পদক্ষেপ নিতে মার্কিন-আন্তরিকতার অভাব তার চোখে পড়ছে। ইসরায়েলের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হলে যে কোনো উদ্যোগ করতে বাধ্য হবেন তিনি।

Comments
Loading...