বিদেশিদের তাগিদে সংলাপ নয় – খাদ্যমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি টোকাই ভাড়া করে নিশীথ রাতে পেট্রলবোমা হামলার মাধ্যমে মানুষ হত্যা করছে। তাই, অমানুষদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। বিদেশিরা তাগিদ দিলেও আলোচনা বা সংলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশালায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাস কিন্তু কমে গেছে। বিএনপি এখন এক্সিটের পথ খুঁজছে। জামায়াত যে পথে তাদের নিয়ে গেছে, সেখান থেকে বিএনপি এখন সম্মানজনক এক্সিটের পথ খুঁজছে। কেননা, রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকতে হলে তাদের সন্ত্রাসের পথ পরিহার করে রাজনৈতিক চরিত্রে ফিরে আসতে হবে। বিকল্প কোনো পথ তাদের কাছে নেই। চলচ্চিত্রকার আলমগীর কুমকুমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আইনি বাধায় জামায়াত নির্বাচনে অংশ করতে পারেনি বলেই বিএনপিও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছে। কিন্তু সেই নির্বাচনের দাবিতে এখন যে পরিস্থিতি তারা সৃষ্টি করেছে, আন্দোলনের নামে এমন পরিস্থিতি আর কখনো হয়নি। কিছু টোকাই ভাড়া করে রাতের অন্ধকারে, নিশীথ রাতে পেট্রলবোমা হামলার মাধ্যমে মানুষ হত্যা করছে। তাই, স্পষ্ট বলতে চাই, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে, নাশকতাকারীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। বিদেশে আমাদের বন্ধুরা, তাদের বন্ধুরা যত তাগিদ-ই দিক না কেন, এদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না। অমানুষদের সঙ্গে, পশুদের সঙ্গে কোনো আলোচনার প্রশ্নই আসে না।
দেশকে নিয়ে জাতিসংঘের অবস্থানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতিসংঘে নিয়মিত প্রেস বিফিং হয়। সেখানে বিএনপির নেতারা সাংবাদিক সেজে প্রশ্ন করেন এবং বাংলাদেশ নিয়ে উত্তর আদায়ের চেষ্টা করেন। এটা বিএনপির নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। কামরুল ইসলাম বলেন, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বাংলাদেশের সবাই বোমা হামলার মাধ্যমে যে মানুষ হত্যা চলছে, এজন্য শঙ্কার মধ্যে আছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু, সন্ত্রাসীদের, নাশকতাকারীদের, দেশের শত্র“দের, এই জঙ্গিদের, যারা আইএসের মতো হামলা করে মানুষ হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার সেই ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর সমস্ত উন্নত দেশেই গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, এটা পরিস্কার কথা, জাতিসংঘসহ সবাই বুঝতে পারছে যে, সরকার সেই পথই বেছে নিয়েছে, যে পথ উন্নত বিশ্ব বেছে নেয়। কাজেই বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এদের কঠোর হাস্তে দমন করা হবে।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মী ও স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এমএ করিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।