বিদেশে প্রায় সব সহায়তা স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বজুড়ে প্রায় সব ধরনের সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করেছে। সোমবার জারি করা এই আদেশের পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি তারবার্তা পাঠান, যা বৈশ্বিক কর্মসূচির জন্য কোটি কোটি ডলারের তহবিল হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
তারবার্তায় বলা হয়েছে, বিদেশি সহায়তা কর্মসূচিগুলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা যাচাইয়ের জন্য আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে পর্যালোচনা শেষ হবে। এরপরই কর্মসূচিগুলো চালিয়ে যাওয়া, সংশোধন করা, বা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিশরের সামরিক অর্থায়ন এই আদেশের বাইরে রাখা হয়েছে। ইউক্রেন ও তাইওয়ানের মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার দেশগুলোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উল্লেখ করা হয়নি।
বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সহায়তা দাতা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে বৈশ্বিক মানবিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক মানবাধিকার কর্মকর্তা বলেছেন, “অর্থায়ন স্থগিতের কারণে কর্মসূচিগুলো অবিশ্বাস্যভাবে বিঘ্নিত হবে।”
বিশেষ করে, স্বাস্থ্য সহায়তা কর্মসূচির ওপর এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। এক কর্মকর্তা মন্তব্য করেছেন, “মহামারী প্রতিরোধে এবং বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এই কর্মসূচিগুলো আমাদের স্বার্থেই গুরুত্বপূর্ণ।”
নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা ব্যবস্থা আমেরিকান স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং অনেক ক্ষেত্রে এটি আমেরিকান মূল্যবোধের পরিপন্থি।
তবে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এই কর্মসূচিগুলো দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক সমর্থন পেয়ে আসছিল এবং সেগুলো আমেরিকার স্বার্থের সঙ্গেই যুক্ত।