বেনাপোলের হোটেল গুলোতে খাওয়ানো হচ্ছে আর্সেনিকযুক্ত পানি
কামাল হোসেন, বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল ও শার্শা উপজেলার হোটেল,রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকানে খাওয়ানো হচ্ছে আর্সেনিকযুক্ত পানি। যাহা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি রাসায়নিক পদার্থ।যা মানুষকে ক্রমেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।সারাদেশে যখন আর্সেনিক মুক্ত পানি ব্যবহারের জন্য প্রচার প্রচরনা চালিয়ে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।তখনও বেনাপোল ও শার্শা প্রায় ৯৫ ভাগ হোটেল-রেস্টুরেন্টরা, চায়ের স্টল ও ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোতে সাধারণ মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে আর্সেনিকযুক্ত পানি।আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
উপজেলার বেনাপোল,নাভারন,শার্শা,বালুন্ড,বাগআঁচড়া বাজার ছাড়াও ছোট বড় বাজার মিলে প্রায় ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০টি হোটেল, প্রায় ১শ’ টি মিষ্টান্ন ভান্ডার, সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার চায়ের দোকান। যেখানে প্রতিদিন ব্যবহার হচ্ছে কয়েক লাখ লিটার পানি। প্রশাসনের অবহেলা,সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাব, জনগনের অসচেতনতা, এর কুফল সম্পর্কে প্রচারণা কম এবং আর্সেনিকযুক্ত টিউবওয়েলগুলোতে রেড এলার্ট না করা এর মূল কারণ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
কয়েকজন দোকান মালিক বলেন, আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল ব্যয় বহুল, অধিকাংশ হোটেল-রেস্টুরেন্টরা ব্যবসা দোকান ভাড়া নিয়ে করা হয়। প্রশাসনিক কোন বাধা না থাকায় আমরা ঝুঁকি নিতে চাইনা। এ ক্ষেত্রে সাধারণ টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করা হয়। কিভাবে এর ব্যবহার কমানো যায় এমন প্রশ্নে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, হোটেল-রেন্টুরেন্টারায়, চায়ের স্টল, ফাস্ট ফুড ও অন্যান্য খাবারের দোকানে আর্সেনিক সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা নেই, সরকারি পর্যায়ে এর কুফল ও প্রভাব বিষদ ভাবে প্রচারণা করে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড ব্যবহার করা উচিৎ। তাহলে এর ভয়াবহতা অনেক ক্ষেত্রে কমে আসবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন সদস্য এ সম্পর্কে কোন খোঁজ রাখেন না। বৈধ-অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব হোটেল-রেস্টুরেন্ট সঠিক সংখ্যা কত হোটেল গুলোতে লাইসেন্স আছে কিনা সেটাও জানেনা কর্মকর্তারা।
শার্শা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র ইনচার্জ ডা. মনজুরুল মোরশেদ আর্সেনিকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বলেন, আর্সেনিক অত্যন্ত মারাত্মক একটি বিষ।আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহারে মানুষের দেহে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যত দ্রত সম্ভব প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেল-রেস্টুরেন্ট গুলোতে অভিযান চালানো হবে।