বেনাপোলে এক দিনের ব্যবধানে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মূদ্রা আটক
কামাল হোসেন, বেনাপোল: শুক্রবার সকালে ভারত থেকে ফেরা ফরিদ হোসেন নামে একজন পাসপোর্টযাত্রীর নিকট থেকে বেনাপোল চেকপোস্টে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দারা প্রায় ৮৫ লাখ টাকার মত বৈদেশিক মুদ্রা আটক করেছে। পাসপোর্টযাত্রী ফরিদ হোসাইন ঢাকার নবাগঞ্জ এলাকার রজব আলীর ছেলে। তার পাসপোর্ট নং বিজে- ০৬৮২৩৩২।
জানা যায়,কাস্টমসে কর্মরত সুপার উত্তম সমাদ্দর ভারত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রী ফরিদ হোসাইন নিকট থেকে ৩০০০ (তিন হাজার )মার্কিন ডলার নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার পর উক্ত যাত্রীকে কাস্টমস গোয়েন্দার রাস্তায় তল্লাশি করে প্রায় বাংলাদেশী টাকার কোটি টাকা মুল্যর বৈদেশীক মুদ্রা জব্দ করেছে। বিতর্কিত স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে বেনাপোাল চেকপোস্ট কাস্টমস থেকে বদলীকৃত সুপার উত্তম সমদ্দার বদলীর ৯ মাস পর আবারো চেকপোস্ট কাষ্টমসে বদলী হয়ে বৈদীশিক মুদ্রা পাচার সহ তার বিরুদ্ধে অন্যান্য অনৈতিক কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস শুল্ক বিভাগের গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর উম্মে সালমা ও সিপাই শাহ মোহাম্মাদ দিলদার হোসেন জানান, কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্র পর হওয়ার পর আমারা উক্ত যাত্রীকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুনরায় তার ল্যাগেজ চেক করি। এক পর্যায়য়ে বিশেষ কায়াদায় লুকিয়ে রাখা তার ল্যাগেজের ভিতর অন্য একটি ব্যাগ কেটে মার্কিন ইউএস ৯৩ হাজার ৪ শত ৪৯ ডলার ভারতীয় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০ রুপি কানাডিয়ান ৪ হাজার ৯শত ডলার ও মালায়েশিয়ার ২ টি রিংগিত পাওয়া যায়। যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় ৮৫ লাখ টাকার মত।
শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযোগ করে বলেন আমরা উক্ত টাকা আটক করলে ও কাস্টমস তাদের জোর করে বলছে তারা উদ্ধার করেছেন। তারা আরো জানায় আমরা আটক করে পাসপোর্টযাত্রী ফরিদ হোসেনকে কাস্টমস রুমে আটক করে রাখলে তাকে পালাতে সাহয্য করে কাস্টমস এর জনৈক কর্মকর্তা।
এ ঘটনা নিয়ে বেনাপোল কাষ্টমসে শুল্ক গোয়েন্দা ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ভিতর চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপরদিকে কাস্টমস এর যুগ্ম কমিশার মোস্তাফিজুর রহমান এর নিকট আটক ফরিদ হোসেনকে পালাতে সাহায্য করেছে কাস্টমস এর জনৈক কর্মকর্তা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি পরে আপনাদের ব্রিফিং দিব। এর পর তিনি আর সাংবাদিকদের কোন ব্রিফিং দেন নাই।
বেনাপোল চেকপোস্টের একটি বিশেষ সুত্র জানায় গত ৯ মাস পুর্বে সুপার উত্তম বেনাপোল চেকপোস্টে দায়িত্বে থাকা কালিন কয়েকবার স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারত চেকপোস্টে কাস্টমস কর্র্তক আটক হলে উত্তম সমদ্দার এর নাম উঠে আসে। এ ঘটনায় তড়ি ঘড়ি উত্তমকে কর্তৃপক্ষ বদলী করে কাস্টমস হাউজে নিয়ে যায়। সেখানে যেয়ে সে উপরের অফিসারদের ঢাকায় যাওয়া বিমানের টিকিট সহ নানা প্রকার উঢৌকন দিয়ে ম্যানেজ করে চাকুরি করার এক পর্যায়ে তার দূর্নীতির অভিযোগ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ফলাও করে খবর প্রকাশ হয়। এর পর সে আবারো বেনাপোল চেকপোস্টে বদলী হয়ে ডলার স্বর্ণ সহ বিভিন্ন দ্রব্য পাচার করে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।