Connecting You with the Truth

বেরোবির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের উদ্যেগ- দলাদলি-আন্দোলন অব্যাহত

 

 

 

 

 

 

B R U news 11 01 2015তপন কুমার রায়, বেরোবি প্রতিনিধি:

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের স্থগিত রাখা ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি না নেওয়ার ব্যাপারে দায়ী করে উপাচার্য পক্ষ ও আন্দোলনরত শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। জানা যায় উপাচর্যকে মাধ্যম করে আন্দোলনরত শিক্ষকদের মৌখিক ভাবে আজ সোমবার শিক্ষামন্ত্রানালয় থেকে ভর্তি পরীক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করার জন্য শিক্ষামন্ত্রানালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে আন্দোলনরত শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রানালয়ে যেতে রাজি হননি। এই অভিযোগকে নাকোচ করে আন্দোলনরত শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন,“আমাদেরকে এই ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রানালয় এমনকি উপাচার্যের পক্ষ থেকেও কোন কিছু জানানো হয়নি। এসব মিথ্যা কথা বলে উপাচার্যের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমরা ভর্তির ব্যাপারে যথেষ্ঠ আন্তরিক। উপাচার্যের জন্যই ভর্তি পরীক্ষা আটকে আছে।” তবে এই ব্যাপারে বিশ^বিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান,“বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও শিক্ষক শাহীনুর রহমান ও রেজিষ্টার মোর্শেদ-উল-আলম রনি নিজেই শিক্ষকদের জানিয়ে ছিলো এমন কি শাহীনুর রহমান স্যার আন্দোলনরত একজন সিনিয়র শিক্ষকের সাথে দফায় দফায় কথাও বলেছেন। কিন্তু তারা শিক্ষামন্ত্রনালয়ের ডাকে যেতে রাজি হয়নি।”

উপাচার্যের সমর্থনকারী ও নীল দলের সভাপতি আপেল মাহমুদ ভর্তি পরীক্ষা না হওয়ার ব্যাপারে আন্দোলনরতদের দায়ী করে বলেন,“ আন্দোলনরতরা ভর্তি পরীক্ষাকে আটকে রেখে এটাকে ইস্যু করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতেই আনেদালন চালিয়ে যাচ্ছে। উনারা ইচ্ছে করলেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। ”

এদিকে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে আন্দোলনরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার দুপুর ১২ টায় “ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ কেন উপাচার্য জবাব চাই” সহ বিভিন্ন শ্লোগানে একটি বিক্ষোভ মিছিল শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক আর এম হাফিজুর রহমান সেলিম বলেন,“আমাদের জন্য নয় উপাচার্যের উদ্যেগ হীনতার কারনেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। ”

উল্লেখ্য যে, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে চলতি সপ্তাহে একটি সিন্ধান্ত আসার কথা ছিলো। এর আগে শিক্ষামন্ত্রনালয় থেকে উদ্যেগ গ্রহন করা হচ্ছে বলেও জানা  যায়। এরই ধারাবাহিকতায় উপাচার্যকে মাধ্যম করে আজ সোমবার শিক্ষামন্ত্রনালয় থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রনালয় থেককে এবিষয়ে জানানো হয়নি বলে আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানায়। শীঘ্রই শিক্ষামন্ত্রনালয় থেকে আবারো অন্য কোন উদ্যেগ অথবা লিখিত ভাবে নির্দেশ আসতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে।

Comments
Loading...